বসিরহাটে অক্সিজেন পার্লার
বসিরহাটের ঘরের ছেলে মিঠু নামেই পরিচিত দীপেন্দু বিশ্বাস। বিধায়ক হিসেবে বসিরহাটে অনেক উন্নয়নমূলক কাজ করেছেন। এখন আপাতত রাজনীতি থেকে দূরে। ওয়ানইন্ডিয়া বাংলাকে দীপেন্দু জানিয়েছেন, সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে বিশেষ ধন্যবাদ জানাতে চাই বসিরহাটের মানুষের পাশে এই অতিমারি পরিস্থিতি মোকাবিলায় যেভাবে তিনি এগিয়ে এলেন। সৌরভ গাঙ্গুলি ফাউন্ডেশন, জেএসডব্লিউ ও শতদ্রু দত্ত যে কোভিড কেয়ারের ব্যবস্থা করেছেন জেলায় জেলায় তারই অঙ্গ হিসেবে বসিরহাটে অক্সিজেন পার্লারের ব্যবস্থা করা হচ্ছে। এখানে বিনামূল্যে এই পরিষেবা দেওয়া হবে। এখানে থাকবে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের তরফে দেওয়া অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর। আপাতত ৬ থেকে ১০টি বেডের অক্সিজেন পার্লার চালুর পরিকল্পনা রয়েছে। খুব শীঘ্রই পরিষেবা চালু হয়ে যাবে।
উদ্যোগী দেব
তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাটালের সাংসদ দীপক অধিকারী (দেব) করোনা-যুদ্ধে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছেন। কলকাতায় যেমন করোনা আক্রান্ত পরিবারের জন্য রান্না করা খাবারের বন্দোবস্ত করেছেন তেমনই ঘাটালের মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে নিয়েছেন একগুচ্ছ পদক্ষেপ। করোনা আক্রান্ত পরিবারের কাছে ওষুধ ও জরুরি জিনিসপত্র পৌঁছে দেওয়া থেকে শুরু করে কমিউনিটি কিচেনের বন্দোবস্ত করেছেন। এমনকী করোনায় প্রয়াত কারও দেহ যাতে দাহ করার জন্য মেদিনীপুর বা খড়গপুরে নিয়ে যেতে না হয় সেজন্য ঘাটালেই একটি শ্মশান গড়ার উদ্যোগ নিয়েছেন। দেবের কাছ থেকে অনুরোধ পেয়ে এই ব্যাপারে প্রয়োজনীয় অনুমতি দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ঘাটালবাসীর পাশেও সৌরভ
ঘাটালের মানুষের পাশে থাকতে দেবের সঙ্গে হাত হাত মিলিয়েছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। তাঁদের উদ্যোগে করোনা আক্রান্ত পরিবারের কাছে পৌঁছে দেওয়া হবে রান্না করা খাবার। অক্সিজেন পার্লারেরও ব্যবস্থা করা হয়েছে। সাংসদ দেব জানিয়েছেন, দাদার টিমের কয়েকজন ঘাটালের মানুষের পাশে দাঁড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছিলেন। সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যাই। আপাতত কলকাতা ও ঘাটালে করোনা আক্রান্তদের রান্না করা খাবার পৌঁছে দিচ্ছে। দাদার টিমের হয়ে শতদ্রু দত্ত এই কাজে সামিল হয়েছেন। দেব টুইটারে লেখেন, এই অতিমারি পরিস্থিতির মতো সঙ্কটজনক সময়ে দেব বা সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় কী করলেন তা বড়ো নয়. আমরা সম্মিলিতভাবে সচেষ্ট হলেই এই লড়াইয়ে আমরা জয়ী হতে পারব।
মানবিক উদ্যোগ
করোনার দ্বিতীয় ঢেউ আছড়ে পড়তেই তড়িঘড়ি ৫০টি কনসেন্ট্রেটর প্রদান করেছেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। সরকারি হাসপাতালের পাশাপাশি বেসরকারি উদ্যোগেও যেখানে অক্সিজেন পার্লার খোলা হয়েছে সেখানেও দেওয়া হয়েছে কনসেন্ট্রেটর। পাটুলিতে পরমব্রত চট্টোপাধ্যায়দের উদ্যোগে যে অক্সিজেন পার্লার খোলা হয়েছে সেখানে যেমন মহারাজের দেওয়া অক্সিজেন কনসেন্ট্রেটর রয়েছেন, তেমনই তা রয়েছে রাজারহাটে, এমনকী হুগলি জেলাতেও। আটটি জেলায় প্রাথমিকভাবে জেএসডব্লিউ এসজিএফ শতদ্রু দত্ত কোভিড কেয়ারের ব্যবস্থা চালু হলেও এখন তার বিস্তৃতি বেড়ে সুফল পৌঁছে যাচ্ছে আরও অনেক জেলার মানুষের কাছেই।