ধেয়ে আসছে সাইক্লোন। যেভাবে শক্তি পাকাচ্ছে ইয়াস তাতে আমফানের থেকে এই ঝড় ভয়ঙ্কর হবে বলে মনে করা হচ্ছে। হাওয়া অফিস বলছে শনিবার সকালে এটি নিম্নচাপে রূপ নিলেও আগামী ২৪ ঘন্টায় এটি আরও ভয়ঙ্কর হয়ে উঠবে। আর শক্তি পাকিয়ে ওডিশা এবং পশ্চিমবঙ্গের দিকে ধেয়ে আসবে।
হাওয়া অফিসের মতে, সোমবার থেকেই ঝড়ের তান্ডব শুরু হয়ে যাবে। তবে বুধবার থেকে আরও ভয়ঙ্কর হবে রূপ নেবে ইয়াস। এমনটাই মনে করা হচ্ছে। তবে ঝড়ের তান্ডবে ভয়ঙ্কর ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে রাজ্যে চলে এসেছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা টিম। কাকদ্বীপ থেকে শুরু করে হাওড়া, কলকাতাতেও এই টিম তৈরি করা হয়েছে।
রাজ্যে পা রেখেই পূর্ব মেদিনীপুরের উপকূলবর্তী গ্রামগুলিতে ঘুরে ঘূর্ণিঝড় নিয়ে সতর্কতামূলক প্রচার চালাচ্ছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী (এনডিআরএফ)।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই ২ কোম্পানি এনডিআরএফ মোতায়েন করা হয়েছে জেলায়। খুব তাড়াতাড়ি আনা হবে আরও ২ কোম্পানি। অন্যদিকে ভারতীয় নৌবাহিনীর তরফেও বিশেষ ণজরদারি চালানো হচ্ছে। ঝড়ের গতিপ্রকৃতির উপর চলছে এই ণজরদারি। ওডিশা এবং পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে থাকা নৌবাহিনীর আধিকারিকরা ইতিমধ্যে প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে।
যে কোনও প্রয়োজনে তাঁরা সাহায্য করতে প্রস্তুত। শুধু তাই নয়, সমস্ত রকমের প্রস্তুতিও চালানো হচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনীর তরফে। নৌবাহিনীর একাধিক জাহাজকে তৈরি রাখা হয়েছে ইতিমধ্যে। পূর্বাভাস বলছে ওডিশা এবং বাংলা উপকূলে ঘন্টায় ১৫০ গতিবেগে আছড়ে পড়বে এই ঝড়।
ফলে এই দুই জায়গাতেই জাহাজগুলিকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে। এই সমস্ত জাহাজের কোনওটিতে তৈরি রাখা হয়েছে মেডিক্যাল টিম। কোনওটিতে তৈরি রাখা হয়েছে ত্রাণ সহ খাবার।
এছাড়া কিছু জাহাজকে তৈরি রাখা হয়েছে উদ্ধারকাজের জন্যে। সবুজ সঙ্কেত পাওয়া মাত্র ঝাঁপিয়ে পড়বে নৌবাহিনী। নৌবাহিনীর বিমানগুলিকে হাই অ্যালার্ট দিয়ে রাখা হয়েছে। সবুজ সঙ্কেত পেলেই সেগুলি উদ্ধার কাজে ঝাঁপিয়ে পড়বে।
অন্যদিকে গত কয়েকদিন ধরে কোস্ট গার্ডের তরফে সাগরে কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। মৎস্যজীবীদের অ্যালার্য় করে তাঁদের ইরাপদে পাঠানোর কাজ করছে তাঁরা। সবদিকে থেকে প্রস্তুতি তুঙ্গে।
এখন শুধু ঝড়ের আশঙ্কায় প্রহর গুনছে রাজ্যবাসী।