নয়াদিল্লি : আগামী ৩০ মে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সপ্তম বছর পূর্ণ করছেন নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। তবে অন্যান্যবারের মতো এবার আর বর্ষপূর্তির অনুষ্ঠানে কোনও আড়ম্বর করা হচ্ছে না । মহামারী আবহে এই দিনটিতে অনাথ শিশুদের পাশে দাঁড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা (JP Nadda) বিজেপি শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের চিঠি দিয়ে এই বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এবার সরকারের বর্ষপূর্তিতে কোনও উৎসবের প্রয়োজন নেই। তার বদলে ওই দিন সমাজসেবামূলক কাজ করার কথা ঘোষণা করেছেন জে পি নাড্ডা।
বিজেপি (BJP) শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের লেখা চিঠিতে জে পি নাড্ডা বলছেন, “আমরা এমন এক মহামারির বিরুদ্ধে লড়ছি যা ১০০ বছরে একবার আসে। এই ভয়াবহ মহামারির বিভীষিকায় প্রাণ হারিয়েছেন বহু মানুষ। বহু শিশু নিজেদের মা-বাবাকে হারিয়েছে। তাদের জীবনে নেমে আসা দুর্দশার কথা আমরা সকলেই বুঝতে পারছি। এই পরিস্থিতিতে ওদের সবরকমভাবে সাহায্য করা আমাদের দায়িত্ব।” বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলির মুখ্যমন্ত্রীদের নাড্ডা নির্দেশ দিয়েছেন, ৩০ মে থেকেই অনাথ শিশুদের জন্য বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতে এই প্রকল্প নেওয়া হোক। প্রকল্পগুলি প্রস্তুত করা হোক রাজ্যের পরিস্থিতি এবং পরিবেশের ওপর নির্ভর করে।
রাজনৈতিক মহলের মতে, করোনার (Corona Virus ) দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেশের মানুষ বিপর্যস্ত। সারা দেশে ভ্যাকসিনের অভাব, অক্সিজেনের সংকট চলছে । কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের বিরুদ্ধে এই ইস্যুতে সরব হয়েছে দেশের সব বিরোধীরা। এই অবস্থায় বিজেপি মনে করছেন, করোনার দ্বিতীয় ঢেউ মোদী সরকারের জনপ্রিয়তায় বড় রকমের আঘাত এনেছে। এই পরিস্থিতিতে সরকারের সপ্তম বর্ষপূর্তি আড়ম্বরের সঙ্গে পালন করলে মানুষের মধ্যে বিজেপি সম্পর্কে ভুল বার্তা যাবে। এই কারণেই হয়তো সমাজসেবার নির্দেশিকা জারি করেছে বিজেপি।
তবে শুধু বিজেপি শাসিত রাজ্যগুলিতেই নয়। সারা দেশে যেখানে বিজেপি-র সংগঠন আছে, সব জায়গাতেই নেতাকর্মীদের করোনায় বিপর্যস্তদের পাশে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন জে পি নাড্ডা। এই নির্দেশ পাওয়ার পর প্রস্তুতি নিচ্ছে দেশের বিভিন্ন রাজ্যের বিজেপি নেতৃত্ব।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.