স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা: টানটান নাটকের পর অবশেষে জেলমুক্তির পর বান্ধবী বৈশাখী বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Baishakhi Banerjee) সঙ্গে বাড়ি ফিরলেন কলকাতার প্রাক্তন মেয়র শোভন চট্টোপাধ্যায় (shovon Chatterjee)৷ শনিবার রাতে প্রেসিডেন্সি জেল থেকে নিজের গোলপার্কের ফ্ল্যাটে গিয়ে উঠলেন তিনি।
শনিবার রাত ৯টা নাগাদ এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে পুলিশের একটি গাড়ি করে শোভন চট্টোপাধ্যায়কে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়। রিস্ক বন্ডে সই করার পরই তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছাড়া হয়েছে৷ প্রেসিডেন্সি জেলে গিয়ে নির্দিষ্ট নথি সই করার পরই বাড়ি ফেরেন তিনি৷
গত সোমবার নারদ মামলায় গ্রেফতার হওয়ার পর প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। মঙ্গলবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে এসএসকেএম হাসপাতালের উডবার্ন ওয়ার্ডে ভর্তি করা হয়। শুক্রবার হাইকোর্ট চার নেতা-মন্ত্রীকে ‘গৃহবন্দি’ করার নির্দেশ দেয়৷ সেই মতো শোভনও তাঁর গোলপার্কের বাড়িতেই গেলেন। সেখানেই আপাতত থাকবেন তিনি৷
আরও পড়ুন: ঘূর্ণিঝড় যশ: ‘তৈরি আছি’ বার্তা দিয়ে টুইট মমতার
এদিকে, শনিবার বিকেলে হাসপাতালে সাংবাদিক বৈঠক করে শোভনবাবু দাবি করেন, চক্রান্ত করে তাঁকে হাসপাতালে আটকে রাখা হয়েছে। হাসপাতালের জানলা দিয়ে শোভন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাকে ডিসচার্জ করা হোক। আমি বন্ডেও বাড়ি যেতে চাই। তৃণমূলের বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগ করা হয়নি।’ কুণাল ঘোষকে বিঁধে শোভন বলেন, ‘যাঁরা বিভিন্ন সময়ে জেলে কাটিয়েছেন, তাঁরা তৃণমূলের মুখপাত্র হয়ে কথা বলছেন। সম্পূর্ণ আইনগত ভাবে বিষয়টি দেখা হোক। বেহালায় আমার বাড়ি আছে। সেখানে যিনি বসবাস করছেন, তাঁর সঙ্গে আমার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। এই চক্রান্ত করে আমাকে দমানো যাবে না৷’
শোভনবাবুর বান্ধবী বৈশাখী বলেছেন, শোভনবাবুকে অহেতুক হাসপাতালে আটকে রাখা হয়েছে। তাঁর ওপরে পর্ণশ্রীর বাড়িতে যাওয়ার জন্য চাপ তৈরি করা হচ্ছে। তিনি মানছেন না বলে তাঁকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হচ্ছে না।মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদ্দেশে বৈশাখী বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হাতজোড় করে বলছি, এই জিনিস থামান। এতে শারীরিক ক্ষতি হচ্ছে শোভনের। কেউ এসে দরজায় লাথি মারছে, ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর হাত মচকে দিচ্ছে। কারা করছে সব ছবি আছে’।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.