মাদ্রিদ: লুইস সুয়ারেজ(Luis Suarez) নাকি ফুরিয়ে গিয়েছেন। মরশুম শুরুর আগে ঠিক এই কারণে দেখিয়ে বার্সেলোনা(Barcelona) ছেঁটে ফেলেছিল তাদের অন্যতম সফল স্ট্রাইকারকে। তাদের এই সিদ্ধান্ত মরশুম শেষে যে এইভাবে ব্যুমেরাং হয়ে ফিরবে তা বোধহয় ঘুণাক্ষরেও টের পায়নি কাতালান ক্লাবটি। লিওনেল মেসিও(Lionel Messi) বেজায় চটেছিলেন ম্যানেজমেন্টের সেই সিদ্ধান্তে। কিন্তু তখন তাঁর হাত-পা বাঁধা। উল্টোদিকে বার্সা ছেড়ে অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদে(Atletico Madrid) যোগ দেওয়া সুয়ারেজের জেদটা চেপে গিয়েছিল তখনই। গোটা মরশুম জুড়ে সেই জেদ যেন কিস্তিতে শোধ করলেন ঊরুগুয়ে স্ট্রাইকার।
আর শনিবার এল সেই মাহেন্দ্রক্ষণ। যখন নতুন ক্লাবকে তাঁর অভিষেক মরশুমে খেতাব দিয়ে সুয়ারেজ বোঝালেন তিনি ফুরিয়ে যাননি। ২১ গোল করে সাত বছর পর অ্যাটলেটিকোর খেতাব জয়ের কান্ডারি হয়ে থাকলেন বার্সার প্রাক্তনী। ‘রোজিব্ল্যাঙ্কোস'(Rojiblancos)-দের খেতাব দিয়ে এদিন মাঠে বসেই কাঁদলেন এবং ভিডিও কলে কথা বললেন পরিবারের সঙ্গে। একইসঙ্গে মাদ্রিদের স্থানীয় এক সংবাদমাধ্যমে অনুভূতি প্রকাশ করতে গিয়ে পুরনো ক্লাবকে নিয়ে বিষোদ্গার সুয়ারেজের গলায়।
জয়সূচক গোল কর ঊরুগুয়ের ৩৪ বছরের দুর্ধর্ষ এই স্ট্রাইকার বললেন, ‘গত গ্রীষ্মে আমি যে পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছিলাম সেটা ভীষণই কঠিন। যেভাবে আমায় খাটো করা হয়েছিল সেটা বর্ণণা করার মতো নয়। নিজেকে প্রমাণ করার জন্য অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদ তাদের সমস্ত দরজা আমার জন্য খুলে দিয়েছিল।’ ছয় মরশুমে বার্সার হয়ে ১৯৮ গোলের পরেও তাঁর দক্ষতা যেভাবে প্রশ্নের মুখে পড়েছিল সেটা যে কতোটা হতাশার, তা সুয়ারেজের এদিনের বক্তব্যেই পরিষ্কার।
উল্লেখ্য, এদিন অ্যাওয়ে ম্যাচে ভায়াদোলিদের(Valladolid) বিরুদ্ধে জিতলেই চ্যাম্পিয়ন হয়ে যেত অ্যাটলেটিকো। কিন্তু প্রথমার্ধে এক গোলে পিছিয়ে থেকে অনুরাগীদের হৃদস্পন্দন বাড়িয়ে দিয়েছিল মাদ্রিদের ক্লাবটি। তবে দ্বিতীয়ার্ধে ৫৭ এবং ৬৭ মিনিটে দলের খেতাব জয় নিশ্চিত করেন অ্যাঞ্জেল কোরেয়া(Angel Correa) এবং লুইস সুয়ারেজ(Luis Suarez)। বার্সার প্রাক্তনীই এদিন নয়া ক্লাবকে খেতাবি গোলটি এনে দেন । প্রতি আক্রমণে বল ধরে ঠান্ডা মাথায় ফিনিশ করেন সুয়ারেজ। পিছিয়ে পড়েও দুরন্ত কামব্যাকে সাত বছর পর খেতাব জয় স্মরণীয় করে রাখে অ্যাটলেটিকো। এই নিয়ে ১১ বার খেতাব জিতল তারা।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.