ভুবনেশ্বর: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে (Corona 2nd Wave) ত্রাহি রব গোটা দেশ জুড়ে। মারণ ভাইরাসের শৃঙ্খল ভাঙতে রাজ্যগুলোতে জারি হয়েছে লকডাউন (Lockdown)। সামাজিক নানা অনুষ্ঠানে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে ব্যতিক্রম ঘটনা ঘটলো ওডিশা (Odisha)রাজ্যে। করোনাবিধিকে বুড়ো আঙ্গুল দেখিয়ে ঘটা করে আয়োজন করা হল বিয়ের অনুষ্ঠান। তারপরেই ঘটলো বিপত্তি।
বিয়ে করতে যাওয়ার সময় বর জানতে পারলেন তিনি কিনা করোনায় আক্রান্ত। ব্যাস, বিয়ে বাড়িতেই পরে যায় হইচই। আতঙ্কিত হয়ে পাড়ার লোকেরাই খরব দেয় পুলিশে। এরপর বিয়ের মণ্ডপ থেকে বরকে পাকড়াও করে আইসোলেশনে পাঠায় পুলিশ প্রশাসন। এই ঘটনাটি ঘটেছে ওডিশার গঞ্জাম জেলার দশেইপুর গ্রামে। শুধু বর নয়, বিয়ে বাড়িয়ে আসা দুই বাড়ির আত্মীয় স্বজনকে নিভৃতবাসে (Isolation) পাঠানোর ব্যবস্থা করে ওডিশা প্রশাসন।
২১ মে বিয়ের দিন ঠিক হয়। তবে গত ১৭ মে নতুন বর রাজেন্দ্র ডান্ডিয়ার করোনার লক্ষণ (Symtoms)সামনে আসে। কিন্তু ২১ মে পর্যন্ত বিয়ের দিন সকালেও হাতে রিপোর্ট পাননি তিনি। বিয়ের উদ্দেশে পাত্রীর বাড়িতে রওনা দেওয়ার পর হঠাৎ জানতে পারে সে করোনায় আক্রান্ত। তারপরেই হুলুস্থুলুস কাণ্ড ঘটে যায়।
এ ব্যাপারে স্থানীয় বিডিও গায়ত্রী দত্ত নায়েক বলেন, “করোনার সংক্রমণ রোধ করতে বরকে আইসোলেশনে পাঠানো হয়েছে। সেই সঙ্গে দুই পরিবারের সদস্যদের আইসোলেশনে থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” ঠিক সময় ঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে তিনি দাবি করেছেন। কোভিডে কাবু গোটা ভারত। দৈনিক সংক্রমণ কিছুটা কমলেও পরিস্থিতি এখনও আয়ত্তে আসেনি। বিভিন্ন স্বাস্থ্য কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জনগণকে সতর্ক হতে বলা হয়েছে। মানুষের সচেতনতা এই মুহূর্তে বিশেষ জরুরি।
সম্প্রতি, করোনার তৃতীয় তরঙ্গকে (Corona 3rd wave) সবচেয়ে বিপজ্জনক বলে উল্লেখ করা হচ্ছে। বলা হচ্ছে যে তৃতীয় তরঙ্গে এবার সরাসরি বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের উপর প্রভাব পরার সম্ভাবনা। যদিও নীতি আয়োগের সদস্য ভিকে পল দাবি করেছেন, বাচ্চারা আক্রান্ত হলেও তাদের উপর তেমন প্রভাব পড়বে না।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.