দোহা: দোহায় প্রস্তুতি শিবির শুরু হয়ে গেল ভারতীয় দলের (Indian Football Team)। বিশ্বকাপ (World Cup) এবং এশিয়ান কাপের (Asian Cup) যোগ্যতা-অর্জন পর্বের বাকি ম্যাচ খেলতে বুধবারই দোহা উড়ে গিয়েছিল দল। এরপর অপেক্ষা ছিল বাধ্যতামূলক আরটি-পিসিআর (RT-PCR) পরীক্ষার রিপোর্টের। সেই রিপোর্ট আসতেই শুক্রবার অনুশীলনে নেমে পড়ে ইগর স্টিম্যাচ (Igor Stimach) অ্যান্ড কোম্পানি। সকল ফুটবলার, সাপোর্ট স্টাফ এবং কোচেদের করোনা রিপোর্ট নেগেটিভ আসার পরেই শুরু হয়ে যায় ভারতের প্রস্তুতি শিবির।
ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের (AIFF) সচিব কুশল দাস (Kushal Das) সংবাদসংস্থা পিটিআই-কে বলেছেন, ‘২৮ জন ফুটবলার এবং সকল সাপোর্ট স্টাফেদের প্রত্যেকেরই কোভিড পরীক্ষার রিপোর্ট নেগেটিভ এসেছে।’ দোহার মাটিতে সুনীলদের প্রথম অনুশীলনের ছবি প্রকাশ করা হয়েছে ভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের তরফ থেকে। শনিবার ছবি পোস্ট করে টুইটে তারা লিখেছে, ‘আগামীর চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুতি। গত রাতে দোহায় প্রথম অনুশীলন সারল ব্লু-টাইগার্সরা।’
উল্লেখ্য, আগামী ৩ জুন দোহায় হোম টিম কাতারের (Qatar) মুখোমুখি ভারতীয় দল। ২০১৯ সেপ্টেম্বরে এই কাতারকে তাদের মাটিতে রুখে দিয়ে সাড়া জাগিয়েছিল ভারতীয় ফুটবল দল। যদিও পরবর্তীতে আশানরূপ পারফরম্যান্স না করতে পারায় ২০২২ বিশ্বকাপের যোগ্যতা-অর্জনের প্রশ্নে ছিটকে গিয়েছেন সুনীলরা। তবে ২০২৩ চিনের মাটিতে এশিয়ান কাপে যোগ্যতা নির্ণয়ের জন্য এশিয়ান কোয়ালিফায়ারের শেষ তিন ম্যাচ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ সুনীলদের। ৩ জুন কাতারের পর ৭ এবং ১৫ জুন যথাক্রমে বাংলাদেশ (Bangladesh) এবং আফগানিস্তানের (Afghanistan) মুখোমুখি হবে ব্লু-টাইগার্সরা।
গত বুধবার দোহায় উড়ে আসার দিনেই এশিয়ান কোয়ালিফায়ারের বাকি তিন ম্যাচের জন্য ২৮ জনের দল ঘোষণা করেছিলেন কোচ ইগর স্টিম্যাচ। যে দলে ফেরত এসেছেন সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri)। করোনায় আক্রান্ত হওয়ার কারণে মার্চের শেষে আমিরশাহীতে জোড়া ফ্রেন্ডলি ম্যাচের স্কোয়াডে ছিলেন না এই তালিসম্যান স্ট্রাইকার। প্রাথমিকভাবে দোহায় গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে যাওয়ার আগে কলকাতায় (Kolkata) স্টিম্যাচের দলের প্রস্তুতি শিবির (Preparatory Camp) হওয়ার কথা ছিল মে মাসের শুরুতে।
কিন্তু করোনা (COVID-19) উদ্বেগে তা বাতিল হওয়ায় দোহাতেই জৈব বলয়ে প্রস্তুতি শিবিরের পরিকল্পনা করে ‘মেন ইন ব্লু’। কোয়ারেন্টাইনে থেকেও দোহায় ঝিঙ্গানদের অনুশীলনের অনুমতি দিয়েছে স্থানীয় প্রশাসন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.