নারদ-কাণ্ডে গ্রেফতার হওয়া শোভন চট্টোপাধ্যায়কে আদালতের নির্দেশ গৃহবন্দি রাখা হল তাঁর গোলপার্কের ফ্ল্যাট। শনিবার রাতে তিনি এএসকেএম থেকে ছাড়া পেয়ে প্রেসিডেন্সি জেল হয়ে ফেরেন গোলপার্কের বাড়িতে। দিনভর টানাপোড়েন নানা বিতর্কের মধ্য দিয়ে শোভনকে বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে গেলেন বৈশাখী।
শোভন চট্টোপাধ্যায় এসএসকেএম থেকে ছাড়া পান শনিবার সন্ধ্যায়। দীর্ঘ বিতর্কের পর রিস্ক বন্ডে সই করে তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান। তারপর প্রেসেডেন্সি জেল হয়ে তিনি পিরলেন গোলপার্কের বাড়িতে। তাঁর গৃহবন্দি কোন বাড়িতে হবে তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। এরপর জেল কর্তৃপক্ষ আদালতের নির্দেশমতো গৃহবন্দি কার্যকর করে। বৈশাখীর সঙ্গে গোলপার্কের বাড়িতেই ফেরেন শোভন।
হাইকোর্ট নারদে ধৃত চার অভিযুক্তদের গৃহবন্দি রাখার নির্দেশ দিয়েছে। কিন্তু সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায় হাসপাতালে থাকায় বাড়ি ফিরতে পারেননি। শনিবার শোভকে বাড়ি ফেরাতে না পেরে সরব হন বৈশাখী। তিনি বিস্ফোরক অভিযোগ করেন। তাঁর অভিযোগের তির ছিল রাজ্য সরকারের দিকে। এরপর শোভনও সরব হন।
এই বিতর্কের পর হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ জানায়, হাসপাতাল তাঁকে আটকে রাখার কেউ নয়, হাসপাতাল শুধু চিকিৎসা করতে পারে। চিকিৎসার প্রয়োজন আছে তাঁকে ছাড়া হয়নি। এরপর রিস্ক বন্ডে সই করে শোভন চট্টোপাধ্যায় বাড়িতে ফেরার সিদ্ধান্ত নেন। সেইমতো রিস্ক বন্ডে সই করার পর জেল কর্তৃপক্ষের তরফে তাঁকে প্রেসি়ডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হয়।
প্রেসিডেন্সি জেলে যাওয়ার পর তাঁকে গৃহবন্দি রাখার প্রক্রিয়া শুরু করেছে কর্তৃপক্ষ। শোভনের পিছনে পিছনে প্রেসিডেন্সি জেলে হাজির হয়েছেন বৈশাখী। এরপর গৃহবন্দি রাখার সমস্ত প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হলে শোভনকে নিয়ে যাওয়া হবে বাড়িতে। জেল কর্তৃপক্ষ সব খতিয়ে দেখে তাঁকে বাড়ি ফেরার অনুমতি দেবেন।