তৃণমূলে ফিরতে চাওয়া বেসুরোদের করতে হবে ফর্ম ফিলআপ! ভাইরাল হল 'স্বীকারোক্তি ফর্ম'

বাংলা দখল কার্যত বিজেপির কাছে ছিল প্রেস্টিজিয়াস ফাইট। ভোটের আগে গোটা টিম নিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়ে মোদী এবং শাহ কোম্পানি। কার্যত ডেলি প্যাসেঞ্জারি শুরু করে দেন শাহ-নাড্ডার। প্রত্যেক সপ্তাহে অন্তত থেকে দুই থেকে তিনবার বাংলা দখল করতে এসেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।

যতবার তিনি বাংলায় এসেছেন ততবারই ২০০ এরও বেশি আসন পাওয়ার কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু ভোটের ফলাফল সামনে আসতেই কার্যত মুখ থুবড়ে পড়েছে বিজেপি। ১০০ টা আসনও বাংলাতে পেলেন না তিনি।

বিজেপির অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে

এমন ফলাফলের পরেই বিজেপির অন্দরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। একের পর এক বিজেপির বর্ষীয়ান নেতা দলের নেতৃত্বের বিরুদ্ধে মুখ খুলেছেণ। এমনকি অভিনেতা-অভিনেত্রীদের প্রার্থী করা নিয়েও প্রশ্ন উঠতে থাকে দলের মধ্যে। যা নিয়ে চরম অস্বস্তিতে বিজেপি নেতৃত্ব। একদিকে দলের মধ্যে এভাবে প্রশ্ন ওঠায় স্বভাবতই ক্ষুব্ধ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের একাংশ। প্রকাশ্যে অনেকেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। অনেকেই বলছেন, বিজেপির অবস্থা এখন রীতিমত ছন্নছাড়া।

সংখ্যালঘু ভাঙনের মুখে বিজেপি

বিধানসভা নির্বাচনে ভরাডুবির পরে বিপর্যস্ত রাজ্য বিজেপি। পরাজিত প্রার্থীদের একাংশ ইতিমধ্যেই দলের সঙ্গে দূরত্ব রাখতে শুরু করেছেন। এর মধ্যেই তৃণমূল ছেড়ে বিজেপি-তে যোগ দেওয়া সংখ্যালঘু নেতাদের একাংশ তৃণমূলে ফেরার তোরজোড় শুরু করে দিয়েছেন। এই দলের নেতৃত্বে রয়েছেন বিজেপি-র সংখ্যালঘু মোর্চার রাজ্য সহ-সভাপতি কাশেম আলি। ২০১৭ সালে মুকুল রায়ের সঙ্গেই বিজেপি-তে আসেন কাশেম। রাজ্য স্তরের দায়িত্বও পান তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রাক্তন নেতা। এখন তিনি ফিরে যেতে চান পুরনো দলে। বিজেপি-র করোনা আক্রান্ত এই মুসলিম নেতা রবিবার বলেন, "বড় ভুল করেছি। শরীরটা ঠিক হলেই নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে ক্ষমা চেয়ে আসব। আমি তৃণমূলেই ফিরে যেতে চাই।" কাশেমের বক্তব্য, "বুঝতে পারছি বিজেপি দলটা মুসলিমদের জন্য নয়। আমি একা নই, আমার সঙ্গে অনেকে যোগাযোগ করছে। সবাই ফিরতে চাইছে। সবারই বক্তব্য, বিজেপি ভোটের প্রচারে যে ভাবে সংখ্যালঘুদের আক্রমণ করেছে সেটা বাংলার মানুষ ভাল ভাবে নেয়নি।" বিজেপি ছাড়তে পারেন আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি সংখ্যালঘু নেতা।

তৃণমূলে ফিরতে চান সোনালি গুহ

ভোেট বিজেপির সমীকরণ উল্টে দিয়ে ফের ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২০০ বেশি আসনে বিপুল জয়। তারপরেই অভিমানী সোনালি মন বদলান। খোলা চিঠি লেখেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাতে তিনি লিখেছেন, 'আমি অভিমানে ভুল সিদ্ধান্ত নিয়ে অন্য দলে গিয়েছিলাম, সেটা আমার চরম ভুল সিদ্ধান্ত। সেখানে নিজেকে মানিয়ে নিতে পারিনি, মাছ যেমন জল ছাড়া বাঁচতে পারে না, তেমন আমি আপনাকে ছাড়া বাঁচতে পারব না। দিদি আমি আপনার কাছে ক্ষমা প্রার্থী। দয়া করে আমাকে ক্ষমা করে দিন। আপনি ক্ষমা না করলে আমি বাঁচব না। আপনার আঁচলের তলে আমাকে টেনে নিয়ে,বাকি জীবনটা আপনার স্নেহতলে থাকার সুযোগ করে দিন।'

ফর্ম সামনে আনলেন দেবাংশু

একের পর এক বিজেপি নেতা তৃণমূলে ফিরতে চাইছেণ। এই অবস্থায় একটি ফর্ম সামনে আণলেন তৃণমূল নেতা দেবাংশু। সেই ফর্ম তাঁর সোশ্যাল প্লাটফর্মে দিয়ে দেবাংশুর দাবি, "সুর" ফিরে পেতে চাওয়া "বেসুরো" ব্যক্তিরা এই ফর্ম ডাউনলোড করে, ফিলাপ করে উল্লিখিত ঠিকানায় জমা দিন। একই সঙ্গে দেবাংশুর দাবি, এটা হওয়ারই ছিল। তাঁর আরও দাবি, সবাই তৃণমূল ছেড়ে যাচ্ছে দেখে গেরুয়া শিবিরে তখন চওড়া হাসি। তবে আমি আগেই বলেছিলাম যে ভোট মিটতেই অনেক নেতা-নেত্রীকেই ক্ষমা চাইতে হবে। সেটাই হচ্ছে।

More MAMATA BANERJEE News  

Read more about:
English summary
debangshu bhattacharya create from who left tmc for election result