সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায় : আজ থেকেই প্রস্তুতি নিতে শুরু করবে ঘূর্ণিঝড় যশ (yaas)। ফলে অস্বস্তিকর গরম (humid weather) বাড়বে দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলাতেই। ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয় এল নিনো (El Nino) ও সাউথ অক্সিলেশনের প্রভাবে। সেই পরিস্থিতি বঙ্গোপসাগরে বর্তমান। তাই ঘূর্ণিঝড় যে হবে সেই সম্ভাবনা অনেকটাই বেশি।

সমুদ্রের উপরিভাগের উত্তাপ ও বাতাসের উপরে তৈরি হয় এই এল নিনো ও সাউথ অক্সিলেশন পরিস্থিতি। এবার এই পরিস্থিতি যত জোরালো হবে তত ঝড়ের সম্ভাবনা বাড়বে। আর এই ঝড় তার শক্তি বৃদ্বির জন্য বাতাসের সমস্ত জ্বলীয় বাষ্পকে টানতে শুরু করে। এবং এর ফলে প্রকৃতির যে হাওয়া থাকে তাও সমুদ্র শুষে নিতে শুরু করে। তৈরি হয় বড় সিস্টেম যা ক্রমে অতি গভীর নিম্নচাপ ও আরও পরে আশেপাশের অঞ্চল থেকে ওই হাওয়া শুষে নিয়ে পেট ভরিয়ে নেয় এবং পরে উগরে দেওয়ার সময় হয় ঝড়ের তাণ্ডব। আজ শনিবার , সেই ঘূর্ণিঝড়ের রূপ নেওয়ার আগে আরও প্রস্তুতি শুরু হবে। তবেই না সে এগোতে পারবে তার শক্তি নিয়ে। এমনটাই বলছেন আবহাওয়াবিদরা।

এবার এই পরিস্থিতি যে ইতিমধ্যেই তৈরি হতে শুরু করেছে তার প্রমাণ মিলেছে কলকাতার সকালের আবহাওয়াতেই। সকাল থেকেই পারদ প্রায় ত্রিশ ছুঁই ছুঁই। মেঘলা আকাশে অবস্থা ব্যাপক অস্বস্তিকর। আজ কলকাতার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমান সর্বোচ্চ ৮৯ শতাংশ , সর্বনিম্ন ৩৭ শতাংশ। আগামী কয়েকদিন স্বাভাবিক ভাবেই অস্বস্তি বাড়বে বলেই জানিয়েছে হাওয়া অফিস।

আলিপুর আবহাওয়া দফতরের সহ অধিকর্তা সঞ্জীব বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘পূর্বাভাস মতোই তৈরি হবে নিম্নচাপ। ২৪ তারিখ তা ঘূর্ণিঝড়ের (cyclone) রূপ নেবে। তারপর সেটি ক্রমে এগিয়ে যাবে বাংলা ওডিশা উপকূলের দিকে। ২৫ তারিখ সন্ধ্যা থেকে কখনও হালকা থেকে মাঝারি কখনও ভারী থেকে অতিভারী বৃষ্টি হবে উপকূলীয় জেলা ও দক্ষিণবঙ্গের সমস্ত জেলায়। সময় অন্তর বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণ। ২৫ তারিখ সন্ধ্যায় ওই অঞ্চলে হাওয়ার গতি থাকবে সর্বোচ্চ ৭০ কিলোমিটার। ২৬ তারিখ দুপুর পর্যন্ত বাড়তে থাকবে হাওয়ার বেগ’।

২৬ তারিখ সাত সকালেই বাংলায় আছড়ে পড়বে ঘূর্ণিঝড় যশ(yaas)। ঝড়ের গতির অল্প আভাস মিলেছে। বলা হয়েছে ২৫ তারিখ রাজ্যের উপকূলবর্তী অঞ্চলে বইতে পারে সর্বোচ্চ ৭০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়া।’

২৫ তারিখ থেকে প্রচুর বৃষ্টি শুরু হবে সমগ্র দক্ষিণবঙ্গে। যা স্বাভাবিক। যত সময় এগোবে সাইক্লোনের শক্তি মাফিক বাড়বে বৃষ্টির পরিমাণও। বলা হচ্ছে ওডিশা, পশ্চিমবঙ্গ উপকূলীয় অঞ্চলে ঝড়ো হাওয়ার দাপট থাকবে ২৪ থেকে ২৬ তারিখ অর্থাৎ তিন দিন ধরে। ২৬ মে সেটি পৌঁছাবে পশ্চিমবঙ্গ – ওডিশা উপকূলে। তখন সেটি সাইক্লোন, যা পূর্ববর্তী ২৪ ঘন্টাতেই শক্তিশালী হয়ে উঠেছে। ২৫ থেকে ২৭ তারিখ পর্যন্ত এই ঝড়ো হাওয়ার দাপট দেখা যাবে ও বাংলাদেশ উপকূলীয় অঞ্চলেও। মাঝি ও মৎস্যজীবীদের ২২ তারিখ থেকে টানা ২৭ তারিখ পর্যন্ত সমুদ্রে বা গভীর সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.