হাসপাতালে শোভনকে আটকে রাখার চক্রান্ত
ফিরহাদ হাকিম প্রেসিডেন্সি জেল থেকে বাড়ি ফিরে গিয়েছেন। কিন্তু নারদ-কাণ্ডে বাকি তিনজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তাঁরা বাড়ি ফিরতে পারেননি। শনিবারও শোভনকে বাড়ি ফিরিয়ে নিয়ে যেতে সক্ষম না হওয়ায় বৈশাখী বলেন, শোভনের অসুস্থতা আগে থেকেই ছিল। এখন হাসপাতালে তাঁকে আটকে রাখার চক্রান্ত করা হচ্ছে।
মন্ত্রী বলে বাড়ি ফিরবেন, সাধারণ মানুষ হলে পারবেন না!
বৈশাখী বলেন, শোভন বাড়ি ফিরতে না পেরে ক্ষোভে খাওয়া বন্ধ করে দিয়েছেন। তাঁর স্বাস্থ্যের প্রতি কোনও লক্ষ্য নই চিকিৎসকদের। শুধু টেস্ট করানোর নাম করে অযথা আটকে রাখার প্রয়াস চালানো হচ্ছে। অথচ সারাদিন তাঁর একবার প্রেসার-সুগার দেখা হয়নি। এটা অগণতান্ত্রিক যে, মন্ত্রী বলে বাড়ি ফিরতে পারবেন, আর সাধারণ মানুষ হলে পারবেন না।
চাপের কাছে নতিস্বীকার করেছে এসএসকেএম!
বৈশাখী অভিযোগ করেন, শোভনবাবুর উপর অযথা চাপ সৃষ্টি করা হচ্ছে। তাঁকে ফিরতে হবে পর্ণশ্রীর বাড়িতে ফিরতে হবে। অথচ তিনি চার বছর ধরে থাকেন গোলপার্কের বাড়িতে। কোথা থেকে চাপ আসছে জানি না। চাপের কাছে নতিস্বীকার করেছে এসএসকেএম। সিবিআই হেফাজতে থেকেও খারাপ অবস্থা এসএসকেএমের।
মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হাতজোড় করে বলছি...
বৈশাখী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হাতজোড় করে বলছি, এই জিনিস থামান। এতে শারীরিক ক্ষতি হচ্ছে শোভনের। কারা এসব করছে, সব ছবি আছে। তিনি অভিযোগ করেন, কেউ এসে দরজায় লাথি মারছে। ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীর হাত মচকে দিচ্ছে। কারা করছে সব ছবি আছে। এর আগেও বিস্ফোরক অভিযোগ করেন বৈশাখী। নিশানা করেন শোভনের স্ত্রী রত্না ও ছেলে ঋষিকে।