মিউনিখ: সম্ভাবনা ছিলো। কিন্তু ম্যাচের সময় যত গড়াচ্ছিল ক্রমশ ফিকে হচ্ছিল সেই সম্ভাবনা। শনিবার অগসবার্গের(Augsburg) বিরুদ্ধে দলের বাকিরা স্কোরশিটে নাম তুললেও নিছুতেই গোল আসছিল না রবার্ট লেওয়ানদোস্কির(Robert Lewandowski)। অথচ একটা গোল করলেই তিনি নাম তুলে ফেলবেন ইতিহাসের পাতায়। বুন্দেসলিগার এক মরশুমে সর্বাধিক গোল করার নজির গড়বেন। ভেঙে দেবেন কিংবদন্তি গার্ড মুলারের(Gerd Muller) ৪৯ বছরের পুরনো রেকর্ড।
সবাই যখন আশা ছেড়ে দিয়েছে ঠিক তখনই এল লেওয়ানদোস্কির সেই কাঙ্খিত গোল। সম্ভাবনায় সিলমোহর দিয়ে নির্ধারিত সময়ের একেবারে অন্তিম মিনিটে গোল করলেন পোলিশ স্ট্রাইকার। একইসঙ্গে ক্লাবের প্রাক্তন কিংবদন্তিকে টপকে বুন্দেসলিগার এক মরশুমে সর্বাধিক ৪১টি গোল করলেন লেওয়ান। ১৯৭১-৭২ মরশুমে ৪০ গোল করে এত বছর রেকর্ড নিজের নামে রেখেছিলেন বায়ার্ন কিংবদন্তি। গত ম্যাচে ফ্রেইবার্গের(SC Freiburg) বিরুদ্ধে গোল করে সেই রেকর্ডে থাবা বসিয়েছিলেন পোল্যান্ড স্ট্রাইকার। আর এদিন প্রত্যাশামতো ছাপিয়ে গেলেন মুলারকে।
খেতাব জেতা হয়েছিল আগেই। শনিবার অগসবার্গকে ৫ গোল দিয়ে মরশুম শেষ করল বাভারিয়ানরা(Bavarians)। লেওয়ানদোস্কি ছাড়াও গোল করলেন সার্জ ন্যাবরি(Serg Gnabry), জোশুয়া কিমিচ(Joshua Kimmich), কিংসলে কোমান(Kingsley Coman)। আরেকটি গোল আত্মঘাতী। প্রথমার্ধেই ৪-০ গোলে এগিয়ে যায় বায়ার্ন। দ্বিতীয়ার্ধে দু’টি গোল করে পরিশোধ করে অগসবার্গ। বায়ার্নের কোচের হটসিটে এদিনই শেষবারের মতো দায়িত্ব পালন করলেন হান্সি ফ্লিক(Hans-Dieter Flick)। ইউরোর পর জার্মানির জাতীয় দলের কোচ হিসেবে জোয়াকিম লো-র(Joachim Low) জুতোয় পা গলাতে পারেন তিনি। কিন্তু তা চূড়ান্ত নয়।
We'll never get tired of this 🏆#DankeDavid #GraciasJavi #DankeJérôme #MiaSanMeister pic.twitter.com/ROM4OMZe1u
— 🏆CHAMPIONS🏆 (@FCBayernEN) May 22, 2021
শেষ ম্যাচের পর ফ্লিক বললেন, ‘ভীষণ মিস করব দলটাকে। আমি গর্বিত ছেলেদের জন্য। এই দলের সঙ্গে সময় কাটানোটা আমার কাছে খুবই আনন্দের ছিল। লেওই(লেওয়ানদোস্কি)-র জন্য খুব খুশি। একটা সময় মনে হচ্ছিল ও বোধহয় গোলটা পাবে না। কিন্তু ও যে গোল করতে কতোটা সিদ্ধহস্ত এটা তার প্রমাণ।’ উল্লেখ্য, তিন ম্যাচ আগে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেলেও এদিন বায়ার্নের হাতে খেতাব তুলে দেওয়া হয়। ট্রফি নিয়ে সেলিব্রেশনে মাতেন বায়ার্ন ফুটবলাররা। বিদায়বেলায় প্রিয় ছাত্রদের ভালোবাসায় মিশ যান হান্সি ফ্লিক।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.