সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়: এই করোনার সময়ে প্রোটিন(protein) জাতীয় খাদ্যের প্রয়োজন। এমন সময়ে ওঁরা সেই প্রোটিন যুক্ত মিল পৌঁছে দিচ্ছে করোনা আক্রান্ত পরিবারের বাড়িতে। ওরা সিপিআইএমএল(cpim) লিবারেশন।
দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ‘দুঃসাহসের ডানায় ভর করে আমরা শুরু করেছি সংহতি হেঁসেল। আর এই দুঃসাহসের স্পর্ধাটা আসে ‘জনগণের স্বার্থই পার্টির স্বার্থ’ এই কথা থেকে। এই বিপন্ন সময়ের সবথেকে বড়ো প্রয়োজন সংহতি, সেই বেঁধে বেঁধে থাকার প্রয়োজনেই কোভিড আক্রান্তদের বাড়িতে খাবার পৌঁছে দেওয়ার একটা প্রচেষ্টার কথা আমরা ভাবি। সেই ভাবনারই ফসল হল এই হেঁসেল।’
একইসঙ্গে তারা জানিয়েছে, ‘প্রথমদিন আমরা ২০ জনের কাছে আমাদের স্বল্প সামর্থে খাবার পৌঁছাতে পেরেছি। আমরা জানিয়েছিলাম, আমরা যে টাকা ধার্য করেছি সেটা কেউ দিতে না পারলেও আমাদের নিঃসঙ্কোচে বলবেন, বলেওছিলেন অনেকে, অধিকাংশকেই প্রায় বিনামূল্যে আমরা পৌঁছে দিচ্ছি খাবার। শুধু কোভিড আক্রান্ত নয়, এলাকার কয়েকজন সহায়হীন মানুষকেও আমরা পৌঁছে দিচ্ছি খাবার। CPI-ML লিবারেশন বালি-বেলুড় লোকাল কমিটি এবং আইসা বালি-বেলুড় জোনালের উদ্যোগে তৈরী হওয়া এই সংহতি হেঁসেল তার উদ্যোগ জারি রাখবে।’
প্রতিদিন দুপুরের খাবারে থাকছে ভাত, ডাল, সবজি, মাছ(fish), মাংস(meat), ডিম(egg)। মূল্য ৫০ টাকা। যারা পারবেন না তাদেরকে এমনিতেই খাবার দিয়ে আসছেন তারা। ঘটনা হল এই ডিম, মাছ, মাংসের এখন ব্যাপক হারে দাম বেড়ে গিয়েছে। ডিম প্রায় সাত টাকা, মুরগির মাংস ২০০ থেকে ২২০টাকা কিলো, এক কিলোর মাছ কিনতে গেলে নিদেন পক্ষে ১৬০ টাকা খরচ করতেই হবে। বাটা মাছ কিনলেও খরচ কমছে না। এমত অবস্থায় এমন প্রোটিন যুক্ত খাবার কোনও গরিবের বাড়িতে বিনা মূল্যে শুধু মাত্র একটা ফোনের ডাকে পৌঁছে যায় তা সত্যিই উপকারের তা বলতে অপেক্ষা রাখে না। সেটাই করছে সিপিআইএমএল ও আইসা।
প্রথমবার লকডাউনের (lockdown) সময়ে শ্রমজীবী ক্যান্টিন শুরু করেছিল সিপিআইএম। কুড়ি টাকায় দুপুরের পেট ভরা খাবার দেওয়া শুরু করে তারা। এখনও কাজ করে যাচ্ছে সেই ক্যান্টিন। এর নেপথ্যে ছিল যাদবপুরে সিপিএমের ছাত্র ও যুব ফ্রন্ট। তাদের ৭৫ জন কর্মী এই কাজ করছিল। প্রতিদিন সকাল-বিকেল ২৫ থেকে ২৭ জন কাজ করছিল এই উদ্যোগের স্বার্থে। এর ১০০ দিনে ৫০ হাজারের বেশি প্যাকেট দেওয়া হয়েছিল।
শ্রমজীবী ক্যান্টিনের উদ্দেশ্য ছিল লকডাউনে মানুষের পেট ভরানো। তাই বাড়িতে দিয়ে আসার ব্যবস্থা ছিল না। সংহতির হেঁসেলর উদ্দেশ্যে দুটোই। করোনা আক্রান্ত পরিবারের প্রোটিনযুক্ত খাবারের ব্যবস্থা করা এবং গরীবের পেট ভরানো। তাই তারা মানুষের বাড়ি গিয়ে খাবার পৌঁছে দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে। আগের দিন নাম নথিভুক্ত করলেই খাবার পৌঁছে যাবে। বলে দিলে খাবার মিলবে নিখরচায়।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.