জুনের শেষার্ধের মধ্যে দেশে দৈনিক ৪৫ লক্ষ কোভিড টেস্টের লক্ষ্যমাত্রা নিয়েছে কেন্দ্র। বাড়ানো হচ্ছে টেস্টিং সেন্টার। আনা হয়েছে হোম টেস্টিং কিট। কিন্তু এতদিন করোনা টেস্টের ক্ষেত্রে আরটিপিসিআর টেস্টেই সর্বাধিক নির্ভরযোগ্য মাধ্যম বলে মনে করা হত। কিন্তু করোনা প্রাদুর্ভাবের এই ভরা বাজারে এবার তা কমতে চলেছে বলে খবর। তা নিয়েই বাড়ছে উদ্বেগ।
যদিও এর আগে মোদীর ঘোষণা অনুযায়ী আরটি-সিপিআর টেস্ট ৭০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করার কথা ছিল। কিন্তু বৃহঃষ্পতিবার কেন্দ্রের ঘোষণাতে যে সে গুড়ে বালি পড়েছে তা স্পষ্ট। উল্টে ব়্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টই আগের তুলনায় অনেকাংশে বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্র সরকার। এমনকী বর্তমান অবস্থা থেকে তা ৬০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে বলে খবর। দ্রুত ও কম খরচ সাপেক্ষ হওয়াতেই এই সিদ্ধান্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
আর ব়্যাপিড টেস্টের কাঁধে ভর করেই কেন্দ্র দৈনিক ৪৫ লক্ষের বেশি করোনা টেস্ট করতে চাইছে বলে ধারণা ওয়াকিবহাল মহলের। এদিকে মাস দুয়েক আগেই আরটি-পিসিআর টেস্টের পরিমাণ ৭০ শতাংশ বাড়ানোর জন্য রাজ্যগুলিকে নির্দেশ দিয়েছিলেন খোদ প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বর্তমানে ব়্যাপিড টেস্টে কেন্দ্রের ভরসা বাড়ায় প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।
কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজেই কুপোকাত করোনা, প্রতিরোধের দৌড়ে পিছিয়ে পড়ছে কোভ্যাক্সিন
এদিকে চলতি সপ্তাহের করোনা টেস্টের তার ছাপ পড়তে শুরু করেছে বলে জানা যাচ্ছে। গত সপ্তাহে দৈনিক গড়ে প্রায় ১৬ লক্ষ করোনা টেস্ট হয় গোটা দেশে। এই পরিমাণই চলতি সপ্তাহে ১২-১৩ লক্ষে নামিয়ে ফেলেছে সরকার। ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা, বর্তমানে ব়্যাপিড ও আরটি-পিসিআর টেস্টের পরিমাণ সমানুপাতিক রাখতে চাইছে সরকার। তাই আরটিপিআর টেস্টকে 'সর্বাধিক নির্ভযোগ্য’ টেস্টিংয়ের তালিকা থেকে নির্ভযোগ্য টেস্টিং তালিকায় নামিয়ে ফেলা হয়েছে।