সৌপ্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়: আরও একটা লকডাউন(lockdown) দেশের বহু প্রান্তের প্রান্তিক মানুষের জন্য যে ভয়ঙ্কর হয়ে দাঁড়াবে তা জানাই ছিল। এদিকে লকডাউন ছাড়া উপায় কী ছিল? সংক্রমণের চেন ভাঙতে দেশের একাধিক রাজ্যের মতোই পশ্চিমবঙ্গকেও সেই পথেই হাঁটতে হয়েছে। সমস্যায় যে অনেকেই পড়েছেন তা স্পষ্ট। কিন্তু যাদের এই সমাজের অঙ্গ হিসাবে ধরাই হয় না তারা যায় কোথায়? রাজ্যের বহু যৌন কর্মীদের মধ্যে নেমে এসেছে আবারও বিপুল আর্থিক অনটন।
দুর্বার মহিলা সমন্বয় সমিতির (durbar mahila samannyay samity) পক্ষে মহাশ্বেতা মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘করোনা পরিস্থিতি ও তার জেরে লকডাউন এর জেরে আমাদের লক্ষ মেয়েরা যারা এই পেশার সঙ্গে যুক্ত তারা বিপুল সমস্যায় পড়েছে। ওদের খাবার যোগানটাও নেই। একদিন ব্যবসা বন্ধ হলে ওদের ঘর ভাড়া থেকে শুরু করে অনেক কিছুতেই সমস্যা হয়ে যায়। গতবার আড়াই মাস লকডাউনের জের দীর্ঘ দিন ছিল। দেনা শোধ করতে পারেনি অনেকেই। আবার পনেরো দিন লকডাউন। মেয়েদের অবস্থা খুব খারাপ। তাই আমরা সাহায্যের হাত চাইছি। যারাই সাহায্য করবেন তাদের প্রতি দুর্বার চির কৃতজ্ঞ থাকব’
একইসঙ্গে তিনি জানিয়েছেন, ‘ডঃ জানার মৃত্যু আমাদের দারুন ভাবে প্রভাব ফেলেছে। উনি আমাদের উপর বট গাছের ছায়ায় মতো ছিলেন। আমাদের কাজ দাঁড়িয়ে না থাকলেও মেয়েদের নিয়ে আমরা সমস্যায় পড়েছি। ওদের ব্যাংকের(bank) ব্যবস্থা করে দিলেও তা দিয়ে তো সংসার চলবে না। তাও।এতদিন। একদিন কাজ বন্ধ হলে ওদের দিন আনি দিন খাই অবস্থা হয়ে যায়। এই অবস্থায় ওদের সাহায্যের প্ৰয়োজন। কলকাতা থেকে শুরু করে রাজ্যের সর্বত্র যেখানে দুর্বার কাজ করছে আমরা দেখছি সমস্ত স্থানের মেয়েদের একই অবস্থা। একদম ব্যাংকের মাধ্যমে আমাদের সাহায্য করতে পারেন।’
গতবার লকডাউনে প্রায় না খেতে পাওয়ার অবস্থা হয়েছিল সোনাগাছির। তার মধ্যে সেবারও সমস্যা হয়েছিল বাড়িভাড়া। মালিকদের দুর্বার অনুরোধ করেছিল যাতে ওই কয়েকটা মাস ভাড়া(rent) মকুব করে দেওয়া হয়। দেই অনুরোধ অনেকেই রেখেছিলেন।
কিন্তু তারপরেও যৌনকর্মীদের ভাড়া না দিতে পারার জন্য বাড়ি থেকে বের করে দেওয়া হয়েছিল। সেই সমস্যা মেটায় দুর্বার। ভাড়াটের শাস্তিড় ব্যবস্থা করা হয়েছিল। কিন্তু এবার সেই অনুরোধ অনেকেই রাখতে চাইছেন না। সকলেই নিজেদের সমস্যার কথা জানাচ্ছেন।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.