কেন্দ্রীয় সরকার ইতিমধ্যেই ছাড়পত্র দিয়েছে ২–ডিজি ওষুধকে (২–ডিওক্সি–ডি–গ্লুকোজ)। এই ওষুধের দাবি এটি করোনায় সুস্থ হয়ে ওঠার সময়কে কমিয়ে আনে এবং করোনা রোগীর অক্সিজেন প্রয়োজনীয়তাকে হ্রাস করে। যদিও একটি বৃহৎ স্তরের বিশেষজ্ঞ ও মেডিক্যাল ক্ষেত্রের চিকিৎসকরা এই ওষুধের কার্যকারিতা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে।
এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের রিপোর্ট অনুযায়ী এই ওষুধ আগে ক্যান্সার চিকিৎসার জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল এবং এটি গ্লাইকোলাইসিসের প্রক্রিয়াটিকে প্রতিরোধ করতে সহায়তা করে, যার মাধ্যমে প্রতিলিপি ভাইরাস শক্তি পায়। তবে এই ওষুধের সঠিক প্রেসক্রিপশনের তত্ত্ব থাকা সত্ত্বেও অনেক চিকিৎসক ও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরাই যথাযথ ক্লিনিক্যাল তথ্যের অভাবে এই ওষুধটিকে করোনা রোগীদের জন্য ব্যবহার করার অনুমতি দিচ্ছে না। এই ওষুধ ডিআরডিও এবং ডাঃ রেড্ডির ল্যাবের সহযোগিতায় তৈরি করা হয়েছে।
মহারাষ্ট্র কোভিড টাস্ক ফোর্সের সদস্য ডাঃ শশাঙ্ক যোশী জানিয়েছেন যে প্রকাশ্যে কোনও তথ্য না আসা পর্যন্ত গবেষণা পর্যায়ে রয়েছে এমন কোনও ওষুধ তিনি ব্যবহার করতে বলবেন না। ডাঃ যোশী এও জানান যে এই ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল ডায়াবেটিস ও করোনারি আর্টারি রোগের রোগীদের ওপর প্রয়োগ করা হয়নি। তাই এই রোগে আক্রান্ত রোগীরা এই ওষুধ খেতে পারবেন কিনা তা স্পষ্ট করা নেই। লোক নায়ক জয় প্রকাশ নারায়ণ (এলএনজেপি) হাসপাতালের ডিরেক্টর সুরেশ কুমার জানান যে ওষুধ প্রেসক্রাইব করা হয়েছে এমন রোগীদের মধ্যে ওষুধটি কীভাবে কার্য সম্পাদন করে তা পর্যবেক্ষণ করা দরকার। হোলি ফ্যামিলি হাসপাতালের জরুরি সেবার প্রধান ডাঃ সুমিত রায় এই ওষুধকে এখনই প্রেসক্রিপশনে যোগ করবেন না বলে জানিয়ে দেন। তিনি বরং জানান, তাত্ত্বিক মান এবং ক্লিনিক্যাল ফলাফলের মধ্যে বিস্তর পার্থক্য রয়েছে এবং গবেষকদের দল এখনও পর্যন্ত কোনও উল্লেখযোগ্য ক্লিনিক্যাল ফলাফল দেখায় নি।
জেলেই থেকেই মরব, কিন্তু হাসাপাতাল যাব না! এলগার পরিষদ মামলায় আর্তি অশীতিপর স্ট্যান স্বামীর
উল্লেখযোগ্য ক্লিনিক্যাল তথ্যের অভাব ছাড়াও স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ওষুধকে দেওয়া নিয়ামক সংস্থার অনুমোদনে স্বচ্ছতার অভাবকেও চিহ্নিত করেছেন। যদিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রকের এক বিবৃতি অনুযায়ী এই ওষুধ ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের দ্বিতীয় স্তরে রয়েছে এবং ১১০ জন রোগীর ওপর পরীক্ষা করা হচ্ছে। কিন্তু ট্রায়াল রেজিস্ট্রি আপলোড করার পর দেখা গিয়েছে মাত্র ৪০ জন রোগী এই ট্রায়ালে অংশ নিয়েছেন। প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের এপ্রিলে বিজ্ঞানীরা পরীক্ষাগারে দেখেছিলেন করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করছে এই ওষুধ।