বদলি করা হল বেশ কয়েকজন এডিজি পদমর্যাদার অফিসারকে
ফের বদল পুলিশ প্রশাসনে। এডিজি পদ মর্যাদার একাধিক অফিসারকে রদবদলের নির্দেশ পুলিশমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। নবান্নের তরফে জারি করা নির্দেশিকা অনুযায়ী, সরানো হল এডিজি-আইজিপি, ওয়েলফেয়ার রণবীর কুমারকে। সরানো হচ্ছে আইপিএস ডঃ দেবাশিস রায়কে। এদিকে, কলকাতার পুলিশ কমিশনার পদ থেকে সরানোর পরে সিআইডির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল অনুজ শর্মার কাঁধে। এডিজি সিআইডি পদে ছিলেন তিনি। বদলি করা হচ্ছে তাঁকেও। তাঁকে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ পদ হিসেবে পরিচিত সশস্ত্র পুলিশের এডিজি হিসাবে পাঠানো হয়েছে। এডিজি (টেলিকমিউনিকেশন) নটরঞ্জন রমেশ বাবুকে বদলি করা হচ্ছে। এডিডি-আইজিপি (ওয়েলফেয়ার) অর্থাৎ রণবীর কুমারের জায়গায় দায়িত্ব পাচ্ছেন তিনি। এছাড়াও বদলি করা হচ্ছে অজয় মুকুন্দ রানাডে এবং আর শিবকুমারকেও। রানাডে রাজ্য পুলিশের ট্রেনিংয়ের এডিজি পদে ছিলেন। তাঁকে একেবারেই কম গুরুত্বপূর্ণ পদ হিসেবে পরিচিত রাজ্য বিদ্যুৎ বণ্টন বোর্ডের পরামর্শদাতা হিসেবে নিয়োগ করা হয়েছে।পাশাপাশি অতিরিক্ত দায়িত্ব পাচ্ছেন রাজ্যের অ্যাডিশনাল ডিরেক্টর অফ সিকিউিরিটি জ্ঞানবন্ত সিং। পূর্বের পদের সঙ্গে সিআইডির এডিজি পদেও নিযুক্ত হলেন তিনি। উল্লেখ্য, এর আগে ডিরেক্টর অব সিকিওরিটির পদে ছিলেন অভিজ্ঞ এই আইপিএস অফিসার। মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তার দায়িত্বও ছিল তাঁর উপর।
হঠাত রদবদল ঘিরে প্রশ্ন
এই মুহূর্তে সিআইডির হাতে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তদন্তভার রয়েছে। শীতলকুচির মতো গুরুত্বপূর্ণ মামলার তদন্ত চলছে। তলব করা হয়েছে অর্জুন সিংয়ের মতো সাংসদদের। এই অবস্থায় এডিজি সিআইডির রদবদল ঘিরে উঠছে প্রশ্ন। যদিও নবান্ন সূত্রে খবর, এর মধ্যে অন্য কিছু নেই। সাধারণ রুটিন বদলি বলেই দাবি নবান্নের। তবে যেখানে সিবিআই এতটা সক্রিয় হয়ে উঠেছে সেখানে রাশভারী পদে বদলির পিছনে অন্য অঙ্কও কাজ করে থাকতে পারে বলে মনে করছেন ওয়াকিবহাল মহলের একাংশ।
আমলা পদে রদবদল
নিজেদের পছন্দ মতো আধিকারীকদের পদে বসিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। সরকারের প্রভাব যাতে কোনও ভাবেই না থাকে সেই নিরপেক্ষতা বজায় রাখতেই আমলা স্তরে রদবদল করা হয়েছিল বলে দাবি করে কমিশন। তৃতীয়বার মুখ্যমন্ত্রী পদে বসতেই ফের নিজের পছন্দ মতো আমলাদের নিজের পছন্দের জায়গায় নিয়ে এলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অ্যাডিশনাল চিফ ইলেক্টরান অফিসার পদ খেকে সরিয়ে আইএএস অফিসার সংঘমিত্রা ঘোষকে তাঁর আগের পদে ফেরানো হল। আগে তিনি নারী ও শিশুকল্যাণ দফতরের সচিব ছিলেন। একই সঙ্গে আরও এক আমলার বদলি করালেন মমতা। কমিশন তাঁকে অ্যাডিশনাল চিফ ইলেক্টরাল পদে বসিয়েিছল। আইএএস স্মারকি মহাপাত্রকে সরিয়ে আনা হল অর্থ দফতরে। সেই দফতরের সচিব পদে বসানো হয়েছে তাঁকে। ২০০২ সালের পশ্চিমবঙ্গ ক্যাডারের আইএএস অফিসার স্মারকি মহাপাত্র। ভোট মিটতেই আমলা এবং পুলিশ স্তরে রদবদলে তৎপর হয়েছিলেন মমতা। বীরভূমের জেলা শাসক ও এসডিপিওকে বদলি করা হয়। বীরভূমের নতুন জেলা শাসক হতে চলেছেন বিধানচন্দ্র রায়। তিনি খাদ্য দফতরের যুগ্মসচিব ছিলেন। অন্যদিকে ডিপি কারনারকে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের ডিরেক্টর পদে বসানো হয়েছে। বিশ্ববাংলা কর্পোরেশনের ম্যানেজিং ডিরেক্টর হিসেবেও কাজ করবেন তিনি।