ইসলামাবাদ: এবার আমাজনের (Amazon) সেলার লিস্টে যুক্ত হল পাকিস্তান (Pakistan)। এবার থেকে এই ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করতে পারবেন পাকিস্তানের ব্যবসায়ীরা। আমাজনের মাধ্যমে পাকিস্তানের ব্যবসায়ীরা তাঁদের সামগ্রী নিয়ে পৌঁছে যেতে পারবেন বিশ্বের দরবারে (Worldwide) । ইমরান খানের দেশের জন্য নয়া সুযোগ বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এই ই-কমার্স সংস্থাটির। আমাজনের এই পদক্ষেপকে সাধুবাদ জানিয়েছে পাক বাণিজ্যমন্ত্রক (Commerce Ministry) । ই-কমার্স সংস্থাটির এই তৎপরতার জেরে পাকিস্তানের ছোট-ছোট উদ্যোগপতিরাও উপকৃত হবেন ও সরাসরি তাঁরা বিশ্বের নানা প্রান্তের ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন বলে আশাবাদী পাক বাণিজ্যমন্ত্রক।

বিশ্বের দরবারে নিজেদের দেশে তৈরি সামগ্রী ব্যাপকমাত্রায় পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ পেল ইমরান খানের দেশ। বিশ্বের প্রখ্যাত ই-কমার্স সংস্থা আমাজন তাদের সেলার লিস্টে আনল পাকিস্তানকে। এই ই-কমার্স সাইটটির উদ্যোগ পাকিস্তানে ব্যাবসা-বাণিজ্যের ক্ষেত্রে একটি মাইলফলক বলে বর্ণনা করেছে পাক বিদেশমন্ত্রক। ২০১৯ সালের শেষ থেকে আমাজনের সঙ্গে ব্যবসা বাণিজ্য বাড়ানো প্রসঙ্গে কথা চলছিল পাকিস্তানের। সেই তৎপরতার সুফল মিলেছে বলে মনে করছে পাক বিদেশমন্ত্রক। আমাজনের এই তৎপরতার ফলে সামগ্রী উত্পাদনকারীরা গ্রাহকের চাহিদা বুঝতে পারবেন। নতুন পণ্য তৈরি বা তার ডিজাইন করতেও সুবিধা হবে। প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকবে পাকিস্তান। এমনইটাই মনে করে সেদেশের সরকার।

পাকিস্তানকে নিজেদের সেলার লিস্টে এনে খুশি আমাজনও। সংস্থার আন্তর্জাতিক সেলার সার্ভিসেসের ভাইস প্রেসিডেন্ট এরিক ব্রাউসার্ড জানিয়েছেন, বিশ্বব্যাপী ই-কমার্স নেটওয়ার্কের সঙ্গে যুক্ত হওয়া পাকিস্তানি উদ্যোক্তাদের জন্য একটি দুর্দান্ত সুযোগ তৈরি করেছে। তিনি আরও বলেন, ‘‘আজ থেকে পাকিস্তানি উদ্যোক্তারা আমাজনে তাঁদের পণ্য বিক্রির সুযোগ পেলেন। আমরাও আগ্রহী। আমরা পাকিস্তানের গতিশীল ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী। পাকিস্তানের ক্ষুদ্র ও মাঝারি বিক্রেতারাও বাকি বিশ্বের ক্রেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। আমরাই তাঁদের সেই ব্যবস্থা করে দিই।’’

এদিকে, আমাজন তাদের সেলার লিস্টে পাকিস্তানকে জায়গা দেওয়ায় স্বভাবতই খুশি দেশের শিল্পমহল। খুশি পাক সরকারের কর্তারাও। পাকিস্তানের বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বিষয়ক উপদেষ্টা আবদুল রাজ্জাক দাউদ জানিয়েছেন, এই সুযোগের সর্বোত্তম ব্যবহারের জন্য পাকিস্তানের ব্যবসায়িক সম্প্রদায়কে তৎপরতা নিতে হবে। ব্যবসায়ীদের গাইড করতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় উদ্যোগ নেবে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.