শিবপ্রিয় দাশগুপ্ত : “এটা পাঁচ বছর আগের মামলা। চার্জশিট হয়ে গেছে। তাই এদের গ্রেফতারের দরকার হয় না। তাছাড়া শীর্ষ আদালত বলেছে জেলাগুলোতে প্রচুর ভিড়। দরকার না হলে এই করোনা মহামারির সময় কাউকে জেলে রাখার দরকার নেই। এই চার জনের বয়েস বেশি। এদের মধ্যে ২ জন মন্ত্রী, একজন বিধায়ক। এদের গৃহবন্দি বা গ্রেফতারের কী প্রয়োজন আছে?” সুব্রত মুখোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়কে গ্রেফতারি প্রসঙ্গে এই মন্তব্য করলেন আইনজীবী জয়ন্ত নারায়ণ চট্টোপাধ্যায়।

জয়ন্ত নারায়ণ মজুমদার বলেন, “এই রাজ্যে গৃহবন্দী বিষয়টা নতুন নয় । এর আগে সারদা মামলায় বিচারপতি জয়মাল্য বাগচী মদন মিত্রকে গৃহবন্দী করার নির্দেশ দেন। তবে এই চার জনকে কী কারণে গ্রেফতার করা হয়েছে চার্জশিট দেওয়ার পর সেটা বোঝা যাচ্ছে না। কেননা এই চার জনের কাছে সোমবারের পর থেকে সিবিআই-র কোনও আধিকারিক গিয়েছেন বলে জানা নেই। মনে হচ্ছে এটা গায়ের ঝাল মেটাতে যেন গ্রেফতার করা হয়েছে। ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায় মন্ত্রী। মদন মিত্র একজন বিধায়ক। এদের সমাজের জন্য কাজ থাকে। এরা গৃহবন্দি থাকলে এদের কাজ করতে অসুবিধা হবে। এর ফলে এই করোনা মহামারির সময় মানুষের জন্য কাজ করার ক্ষেত্রে সমস্যা হবে। মানুষ পরিষেবা পেতে সমস্যায় পড়বেন।”

প্রসঙ্গত শুক্রবার আদালতে বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল ও অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে মামলার শুনানি শুরু হয়। বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র ও শোভন চট্টোপাধ্যায়ের অন্তর্বর্তী জামিনের পক্ষে রায় দেন। এর বিরুদ্ধে মত দেন বিচারপতি রাজেশ বিন্দাল। শেষ পর্যন্ত ঠিক হয়, এই চার জনকে শর্তসাপেক্ষে জামিন দেওয়া হল। এরা গৃহবন্দি থাকবেন।

আইনজীবী কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “ফিরহাদ হাকিম কলকাতার করোনা মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অগ্রণী ভূমিকায় রয়েছেন। তিনি কলকাতায় প্রথম করোনার টিকা নেন। তাঁকে গৃহবন্দী করলে কলকাতা পুরসভার করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সমস্যা হবে। তাঁকে গৃহবন্দী করলে একটা ফাইলে সই করতে তিনি পারবেন না। কলকাতার মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হবেন। কেননা ফিরহাদ হাকিম কলকাতা পুরসভার মুখ্য প্রশাসক।” এর পর আদালত করোনার কাজের সঙ্গে জড়িতদের ভার্চুয়ালি কাজ করার অনুমতি দেয়।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.