বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পালিত হয় নরসিংহ জয়ন্তী। হিন্দু ধর্মে এই পৃথিবী শেষ মাহাত্ম্য রয়েছে এই বছর ২৫ তারিখ অর্থাৎ মঙ্গলবার পালিত হবে নরসিংহ জয়ন্তী দিবস (narsingh jayanti)।
হিন্দু ধর্ম অনুসারে ভগবান নরসিংহ ভগবান বিষ্ণুর চতুর্থতম অবতার বলে পরিগণিত হন। এমনিতে দেশের প্রায় প্রতিটি কোনায় পূজিত হন ভগবান নরসিংহ।
তবে দক্ষিণ ভারতের (south india) বৈষ্ণব সম্প্রদায়ের ব্যক্তিরা বিশেষ করে কোন সংকটের মুহূর্তে তাদের পরিত্রাতা হিসেবে পুজো করেন নরসিংহের।
ধার্মিক বিশ্বাস অনুযায়ী এই দিন ভগবান বিষ্ণু দৈত্যদের রাজা হিরণ্যকশিপুর হাত থেকে তার ভক্ত প্রহ্লাদকে রক্ষা করতে অর্ধ নর এবং অর্ধ সিংহ রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন।
আরো পোস্ট- করোনায় শত্রু এসি! আপনিও মেনে চলুন এগুলি
তাই সেদিন থেকেই এই দিনটি নরসিংহ জয়ন্তী রূপে পালিত হয়ে চলেছে। ভগবান নরসিংহ কে শক্তি তথা পরাক্রমের দেবতা হিসেবে পুজো করা হয়।
ভগবান নরসিংহ শ্রীহরি বিষ্ণুর উগ্র রূপ হিসেবে পূজিত হন। মনে করা হয় নরসিংহের পুজো করলে সমস্ত রকমের সংকট দূর হবে।
ধার্মিক বিশ্বাস অনুসারে এই দিন কোন ব্যক্তি ব্রত রেখে মন থেকে পুজো পাঠ করলে তার সমস্ত পাপ থেকে মুক্তি ঘটে এবং তার জীবন ও পরিবার সুখ সমৃদ্ধিতে ভরে ওঠে।
এই বছর মঙ্গলবার দুপুর ৪.২৬ মিনিট থেকে সন্ধে ৭.১১ মিনিট অবধি থাকবে নরসিংহ জয়ন্তীর তিথি (narsingh jayanti)। এই তিথির মধ্যে পুজোর সময় ২ ঘন্টা ৪৫ মিনিট।
ভোর বেলায় ঘুম থেকে উঠে শুদ্ধমনে তিল, গোমূত্র, মাটি দিয়ে শুদ্ধভাবে স্নান করতে হবে। আপনার পুজোর কক্ষে নরসিংহর মূর্তি বা ছবি স্থাপন করুন।
মূর্তির সামনে প্রদীপ জ্বালান। প্রসাদ এবং লাল ফুল নরসিংহ দেবের পায়ে (narsingh jayanti) অর্পণ করুন।
এরপরে তার সামনে মন থেকে সমস্ত প্রার্থনা বলুন। মধ্যরাত্রি থেকে ভোরবেলা নরসিংহ দেবের মন্ত্র উচ্চারণ করতে পারলে সবথেকে শুভ বলে মনে করা হয়।
যিনি ব্রত রাখবেন তিনি ফলাহার করবেন। পরের দিন অসহায় ব্যক্তিদের দানের মাধ্যমে এই উপোস ভাঙতে পারবেন তিনি।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.