করোনা মোকাবিলায় একাধিক সংস্থার পাশাপাশি নিরন্তর গবেষণা চালিয়ে যাচ্ছে ডিফেন্স রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট অর্গানাইজেশন (ডিআরডিও)। কোভিডের চিকিৎসায় ব্যবহারের জন্য ২-ডিঅক্সি-ডি-গ্লুকোজ (২-ডিজি) তৈরি করে ইতিমধ্যে গোটা দেশকে চমকে গিয়েছে ডিআরডিও। গত সোমবার থেকে বাজারেও এসে গিয়েছে সেই ওষুধ। এবার বাজারে আসতে চলেছে কোভিড-১৯ অ্যান্টিবডি সনাক্তকরণ কিট 'ডিপকোভ্যান’।
এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই করোনা মোকাবিলায় নতুন আশার আলো দেখছে স্বাস্থ্য মন্ত্রকও। ডিআরডিও-র ডিফেন্স ইনস্টিটিউট অফ ফিজিওলজি অ্যান্ড অ্যালাইড সায়েন্সেসের (ডিআইপিএএস) তরফেই এই বিশেষ কিট তৈরি করা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সাহায্যের হাত বাড়িয়েছে দিল্লি ভিত্তিক উন্নয়ন ও উৎপাদন ডায়াগনস্টিক সংস্থা ভ্যানগার্ড ডায়াগনস্টিকস প্রাইভেট লিমিটেডও। এদিকে সঙ্কটকালে ডিআরডিও-র এই প্রচেষ্টার জন্য সাধুবাদ জানিয়েছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিং।
এদিকে গবেষকরা বলছেন ডিপকোভ্যান কিটটি ৯৭ শতাংশ উচ্চ সংবেদনশীলতা এবং প্রায় ৯৯ শতাংশ নিশ্চয়তার সঙ্গে SARS-CoV-2 ভাইরাসের স্পাইক ও নিউক্লিওক্যাপসিড (এস অ্যান্ড এন) প্রোটিন উভয়কেই সনাক্ত করতে পারে। এদিকে এই অ্যান্টিবডি সনাক্তকরণ কিটটি এই বছরের এপ্রিলে আইসিএমআর দ্বারা অনুমোদিত হয়েছে বলেও জানা যাচ্ছে। তবে এর ট্রায়াল চলছিল গত বছরের শেষার্ধ থেকেই।
এদিকে চলতি মাসেই ডিপকোভ্যান কিটটি উত্পাদন ও বিক্রির জন্য ড্রাগস কন্ট্রোলার জেনারেল অফ ইন্ডিয়া (ডিসিজিআই), সিডিএসসিও, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রকের কাছ থেকে অনুমোদন পায় বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে কিটের বিক্রি ও প্রচার সহ যাবতীয় দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে ভ্যানগার্ড ডায়াগনস্টিক্স প্রাইভেট লিমিটেডকে। আগামী জুনের প্রথম সপ্তাহ থেকেই একটি বাণিজ্যিকভাবে বিক্রি শুরু হয়ে যাবে বলে মনে করা হচ্ছে।
বাংলার করোনা সংক্রমণে উদ্বেগ বাড়াচ্ছে উত্তর ২৪ পরগনা, একদিনে মৃত্যু ৫০ ছুঁই ছুঁই