বিভেদকামী গ্রেগ
সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় এখন বিসিসিআই সভাপতি। রাহুল দ্রাবিড় ন্যাশনার ক্রিকেট আকাদেমির প্রধান। সীমিত ওভারের সিরিজ খেলতে ভারতীয় দল নিয়ে কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড় শ্রীলঙ্কা সফরে যাবেন, এটাও ঠিক। এমনকী রবি শাস্ত্রীর মেয়াদ শেষ হলে দ্রাবিড়কে তাঁর স্থলাভিষিক্ত করা হতে পারে বলেও জল্পনা চলছে। এই আবহে ফের পুরানো কাসুন্দি নিয়ে নাড়াচাড়া শুরু করেছেন ভারতীয় দলের প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় কোচ গ্রেগ চ্যাপেল। অধিনায়ক রাহুল দ্রাবিড়কে নিয়ে বিস্ফোরক দাবির মধ্যেই ফের টার্গেট করলেন সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে।
অধিনায়ক দ্রাবিড়
রাহুল দ্রাবিড় ভারতীয় দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ২৫টি টেস্টে, জিতেছেন আটটিতে, পরাজয় ছটিতে, ড্র হয় ১১টি টেস্ট। দ্রাবিড় ৭৯টি একদিনের আন্তর্জাতিকে ভারতকে নেতৃত্ব দেন। তবে ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের কাছে হেরে প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নেয় দ্রাবিড়ের ভারত। উল্লেখ্য, দ্রাবিড় অধিনায়ক থাকাকালীনই ভারতীয় দল থেকে বাদ পড়েছিলেন সৌরভ।
অসহযোগিতার দাবি
সেই অধ্যায়ের কথা টেনেই গ্রেগ চ্যাপেল বলেছেন, রাহুল দ্রাবিড় অধিনায়ক হিসেবে ভারতকে বিশ্বের সেরা করার সবরকম চেষ্টাই করেছিলেন। তবে দুর্ভাগ্যজনকভাবে দলের অনেকেই তা চাইছিলেন না। নিজেদের কেরিয়ারের শেষ লগ্নে থাকা অনেক সিনিয়র ক্রিকেটারই দ্রাবিড়কে সহযোগিতা করেননি। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়কে ভারতীয় দল থেকে বাদ দিয়ে বার্তা দেওয়া হয়েছিল বলেও দাবি চ্যাপেলের। তিনি বলেন, সৌরভ যখন দল থেকে বাদ পড়লেন তখন দলের অনেকেই এটা বুঝেছিলেন, সৌরভ যদি বাদ পড়তে পারেন তাহলে আমাদের ক্ষেত্রেও তেমনটাই হতে পারে। এরপর ১২ মাস আমরা ভালোই কাটিয়েছিলাম। কিন্তু তারপর সৌরভ ফিরতেই ফের সমস্যা তৈরি হলো। প্রতি পদে বাধা আসতে থাকল বেশি পরিমাণে।
নিজেই সরে যাওয়া
চ্যাপেলের কথায়, যে ধরনের পরিবর্তন আনতে চেয়েছিলাম সৌরভ দলে কামব্যাকের পর বেশিরভাগ ক্রিকেটারই বলতে লাগলেন আমরা পরিবর্তন চাই না। এরপরও বিসিসিআই আমাকে কোচ হিসেবে রাখতে চেয়ে চুক্তি বাড়াতে চেয়েছিল। তবে আমিই এমন স্ট্রেস না নিয়ে সরে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিই।