লখনউ: করোনার (Corona Virus) সেকেন্ড ওয়েভে তোলপাড় গোটা দেশ। দ্রুত মাত্রায় টিকাকরণই (Vaccination) পরিস্থিতি মোকাবিলার একমাত্র উপায়, এমনই মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। দেশজুড়ে টিকাকরণে গতি বাড়াতে চাইছে কেন্দ্রীয় সরকার (Central Govt)। তবে এখনও দেশে টিকার (Vaccine) ঘাটতি রয়েছে। এবার করোনার টিকা কোভ্যাকসিন (Covaxin) তৈরি (Manufacture) হবে উত্তরপ্রদেশেও (Uttarpradesh) । বুলন্দশহরে কোভ্যাকসিন তৈরি হবে। প্রাথমিক ক্ষেত্রে প্রতি মাসে টিকার এক কোটি ডোজ উৎপাদন করাই লক্ষ্য। দেশজুড়ে টিকাকরণে গতি বাড়াতে এবার কোমর বেঁধে মাঠে নেমেছে মোদী সরকার।

করোনা এড়াতে গত ১৬ জানুয়ারি দেশজুড়ে শুরু হয়েছে টিকাকরণ। ভারতে আপাতত অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রোজেনেকার কোভিশিল্ড ও হায়দরাবাদের সংস্থা ভারত বায়োটেক ও আইসিএমআর-এর বিজ্ঞানীদের তৈরি কোভ্যাকসিনের প্রয়োগ চলছে। তবে এবার টিকাকরণে গতি আনতে টিকার ডোজের উৎপাদন বাড়াতে তৎপরতা নেওয়া হয়েছে। এবার কোভ্যাকসিন তৈরি হবে উত্তরপ্রদেশেও। একটি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা উত্তরপ্রদেশের বুলন্দশহরে করোনার টিকা কোভ্যাকসিন তৈরি করবে। প্রাথমিকভাবে প্রতি মাসে এক কোটি টিকার ডোজ বানানোই লক্ষ্য সংস্থাটির। তবে অল্প কিছুদিনের মধ্যেই টিকা উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা দ্বিগুণ করা হবে বলে জানা গিয়েছে।

গোটা দেশ করোনার গ্রাসে। গত কয়েকদিন ধরে দেশের কোভিড গ্রাফ ওঠানামা করছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Health Ministry) দেওয়া তথ্য অনুযায়ী শুক্রবার সকালে দেশের দৈনিক সংক্রমণের পরিসংখ্যানে ক্ষণিকের স্বস্তি। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনা (Covid-19) আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৫৯ হাজার ৯৫১ জন।

যা গত দিনের তুলনায় প্রায় ১৬ হাজার কম। তবে করোনায় দেশে দৈনিক মৃত্যু সংখ্যা বেড়েই চলেছে। একদিনে দেশে করোনার বলি হয়েছেন ৪ হাজার ২০৯ জন। দেশে এই মুহূর্তে সক্রিয় করোনা রোগীর সংখ্যা ৩০ লক্ষ ২৭ হাজার ৯২৫ জন। এখনও পর্যন্ত দেশের ১৯ কোটি ১৮ লক্ষ ৭৯ হাজার ৫০৩ জনের টিকাকরণ সম্ভব হয়েছে।

জানা গিয়েছে ইতিমধ্যেই করেনাার টিকা কোভ্যাকসিনের উৎপাদনকারী সংস্থা হায়দরবাদের ভারত বায়োটেকের সঙ্গে ওই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার চুক্তি সই হয়েছে। রাষ্ট্রায়ত্ত ওই সংস্থাকে টিকার উৎপাদন করতে অর্থ সাহায্য দিচ্ছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রতি বছর ২০ কোটি টিকার ডোজ বানানোর লক্ষ্যমাত্রা নেওয়া হবে বলে জানা গিয়েছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.