বুধবার শুনানি হয়েছিল
সোমবার রাতের পরে বুধবার হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি রাজেশ বিন্দল ও বিচারপতি অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে শুনানি হয়। দুপক্ষই যুক্তির পাল্টা যুক্তি দেন। বুধবার দুপুর দুটো থেকে প্রায় আড়াই ঘন্টার শুনানি হয়। শুনানি সম্পূর্ণ না হওয়ায় বুধবারও জেল হেফাজতে থেকে যেতে হয় ৪ হেভিওয়েটকে। মূলত ৪ হেভিওয়েটের জামিনে যে স্থগিতাদের দিয়েছিল উচ্চ আদালত, তা নিয়ে এবং মামলা স্থানান্তর নিয়ে শুনানি হওয়ার কথা ছিল। সূচি অনুযায়ী দুপুর ২ টোয় শুনানি শুরু হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা বাতিল হয়ে যায়।
রহস্য খুঁজে পাচ্ছেন অনেকে
একদিকে যেমন ৪ হেভিওয়েট হেফাজতে রয়েছেন। সেই পরিস্থিতিতে শুনানি মাঝপথে একদিনের জন্য স্থগিত হয়ে যাওয়ায় অনেকেই রহস্য খুঁজে পাচ্ছেন। এব্যাপারে হাইকোর্টের ওয়েবসাইটে দেওয়া বিজ্ঞপ্তিও বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সেখানে বলা হয়েছে, অনিবার্য কারণ বশত এদিন ফার্স্ট ডিভিশন বেঞ্চ এদিন বসবে না।
নতুন ডিভিশন বেঞ্চ গঠনের আবেদন
এদিন ৪ হেভিওয়েটের পক্ষে এই মামলায় নতুন ডিভিশন বেঞ্চ গঠনের আবেদন জানানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্তদের পক্ষ থেকে আইনজীবীরা কলকাতা হাইকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কাছে এব্যাপারে আবেদন করতে চলেছেন, নতুন ডিভিশন বেঞ্চ গঠন করে সেখানে মামলার শুনানি করা হোক। সেক্ষেত্রে এদিনই শুনানি হয় কিনা সেদিকে নজর রয়েছে সবপক্ষের।
কম করে আরও একদিন হেফাজতে
এদিন শুনানি না হওয়ায় ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র, শোভন চট্টোপাধ্যায়কে আরও একদিন জেল হেফাজতেই থাকতে হবে। প্রসঙ্গত শোভন চট্টোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায় রয়েছেন এসএসকেএম-এর উডবার্ন ওয়ার্ডে। অন্যদিকে ফিরহাদ হাকিম রয়েছেন প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারের উত্তমকুমার সেলে। সবাই মোটামুটি স্থিতিশীল রয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।