মৃত্যুর হার বেড়েছে
দিল্লির সর্ববৃহৎ বেসরকারি হাসপাতালের চেইন ম্যাক্স হাসপাতালে এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহে মহামারি শুরুর সময় থেকে ৩০ হাজার রোগী ভর্তি হয়েছিলেন। ম্যাক্স হাসপাতালের গ্রুপ মেডিক্যাল ডিরেক্টর ডাঃ সন্দীপ বুদ্ধিরাজ বলেন, ‘এটা শেষ ওয়েভের চেয়ে অনেক বিপরীত। গত বছর আমাদের মাসিক মৃত্যুর হার ছিল ৬ শতাংশ। এই বছর তা ৭.৬ শতাংশ, বিশেষ করে ৪৫ বছরের কম বয়সীদের মৃত্যু বেশি হচ্ছে। গত বছরের মতো এ বছরও হাসপাতালে ভর্তির হার একই রয়েছে ২৮ শতাংশ। কিন্তু মৃত্যুর হার ২ শতাংশ থেকে ৪ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। ৪৫ বছরের কম বয়সীদের মৃত্যুর ক্ষেত্রে গত বছর ৭-৯ শতাংশ থেকে এ বছর ৯-১১ শতাংশ বেড়েছে।'
দিল্লিতে সরকারি হাসপাতালে ২০–২৫ শতাংশের মৃত্যু
দিল্লি সরকারের কোভিড উৎসর্গীকৃত সবচেয়ে বড় লোক নায়েক জয় প্রকাশ হাসপাতাল জানিয়েছে দেরি করে হাসপাতালে ভর্তির জন্য মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। এই হাসপাতালের প্রধান ঋতু সাক্সেনা বলেন, ‘এপ্রিলের প্রথম সপ্তাহ থেকে সাড়ে ছয় হাজার রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন এবং ২০-২৫ শতাংশের মৃত্যু হয়েছে। হাসপাতালে বেডের অভাব ও অক্সিজেন নিয়ে আতঙ্কের কারণে উচ্চ মৃত্যুর হার দেখা দিয়েছে। অনেক রোগীই হাসপাতালে যাওযার বদলে বাড়িতেই থাকছেন এবং শেষ পর্যায়ে এসে অকঞসিজেন সিলিন্ডার ব্যবহার করছেন। হাসপাতালে ভর্তি হতে দেরি হওয়ার কারণেই মৃত্যুর সংখ্যা ক্রমশঃ বাড়ছে।'
মুম্বইতেও মৃত্যুর হার সামান্য কমেছে
মুম্বইতেও গত দশদিনে করোনা কেস ২৫ শতাংশ হ্রাস পেয়েছে এবং মৃত্যুও হ্রাস পেয়েছে ২৩ শতাংশ। ১০ মে মুম্বইতে ১,৭৯৪টি কেস ও ৭৪ জনের মৃত্যুর খবর ছিল। বৃহস্পতিবার সেখানে ১,৪২৫টি কেস ও ৫৯ জনের মৃত্যু হয়েছে।' ফর্টিস হাসপাতাল মুম্বইয়ের ক্রিটিক্যাল কেয়ারের ডিরেক্টর ডাঃ রাহুল পণ্ডিত বলেন, ‘দ্বিতীয় ওয়েভে মানুষ সংক্রমণের পর প্রথম ওয়েভের চেয়ে সুস্থ হতে বেশি সময় নিচ্ছে। এটা শুধু যাঁদের একাধিক রোগ রয়েছে এবং আইসিইউতে ভর্তি তাঁরাই নন, বরং তরুণ ও স্বাস্থ্যকর মানুষও তিন সপ্তাহের বেশি সুস্থ হতে সময় নিচ্ছে। অনেকেই ১০-১৪ দিন ধরে ভেন্টিলেশনেও থাকছেন। কারণ এখন এই ভাইরাসের তীব্রতা আগের চেয়ে অনেক বেশি।'
কেন্দ্র ও রাজ্যের উদ্যোগ
গুরুতর রোগীদের পরিচালনা করার জন্য কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়ই আইসিইউ বেড এবং মেডিক্যাল অক্সিজেনের উৎপাদন বাড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু এ বিষয়ে আসরও স্পষ্ট প্রভাব দেখতে গেল আরও কিছুদিন বা কয়ে সপ্তাহ অপেক্ষা করতে হবে।