আদালতের নির্দেশে উত্তরপ্রদেশের বারাবাঙ্কি জেলার স্থানীয় প্রশাসন একশো বছরের পুরনো মসজিদ ভেঙে দিল। এই মসজিদটি জেলার রামস্নেহি ঘাটের তেহসিল অফিস চত্ত্বরে অবস্থিত ছিল। প্রশাসনের দাবি ওই জমি দখল করে মসজিদ তৈরি হয়েছিল এবং আদালতের নির্দেশে তা ভেঙে ফেলা হয়।
অন্যদিকে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে একশো বছরের পুরনো মসজিদ ভেঙে ফেলার জন্য তারা বারাবাঙ্কি প্রশাসনের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হবে। মসজিদের পরিচালন কমিটির অভিযোগ স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা বহুদিন ধরে এই মসজিদ ভাঙার ষড়যন্ত্র করছিলেন। মসজিদ কমিটির চেয়ারম্যান সাবির আলি একরাতের মধ্যে মসজিদ ভেঙে ফেলার জন্য স্থানীয় প্রশাসনকে দায়ি করেছেন এবং ব্যাপক পুলিশি উপস্থিতিতে মসজিদের ধ্বংসাবশেষ দূরে ফেলে দিয়ে আসা হয় বলেও তিনি অভিযোগ করেন।
করোনায় বিপর্যস্ত দেশ, বাড়ল আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় সীমা
সুন্নি ওয়াকফ বোর্ড নিশ্চিত করেছে যে মসজিদটি তাদের কাছে নিবন্ধীকরণ ছিল এবং তা ভেঙে দেওয়ার জন্য আদালতের কোনও আদেশ ছিল না। বোর্ড জানিয়েছে তারা হাইকোর্টের দ্বারস্থ হবে এবং মসজিদটি পুনরায় তৈরি করা এবং দোষীদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করার জন্য আবেদন করবে। বুধবার সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডের পক্ষ থেকে বলা হয়, 'তেহসিল ও রামস্নেহি ঘাটের জেলা প্রশাসন, বিশেষ করে মহকুমা শাসক যেভাবে একশো বছরের পুরনো মসজিদ যা তেহসিল চত্ত্বরের কাছে অবস্থিত ছিল তা জবর দখলের নামে যেভাবে ভেঙে ফেলা হল তা অবৈধ ও এর বিরুদ্ধে পদক্ষেপের দাবি করছি। আমরা তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এই ঘটনাকে।’
প্রসঙ্গত মার্চেই রেজিস্ট্রেশনের তথ্য দেখানোর জন্য মসজিদ কমিটিকে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছিল। এই নোটিশের জবাব পরে দিয়েছিল মসজিদ কমিটি। বোর্ড জানিয়েছে যে তাদের পরবর্তী পদক্ষেপের বিষয়ে অবহিত করা হয়নি। ভাঙচুরের সময় মসজিদে প্রার্থনা বন্ধ রাখা হয়েছিল এবং কেউ যাতে প্রবেশ করতে না পারেন তার জন্য ব্যারিকেড দেওয়া হয়।