নয়াদিল্লি: করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে ত্রস্ত গোটা দেশ। চারদিকে বেড়েই চলেছে মৃত্যু মিছিল। তবুও হুঁশ নেই কিছু মানুষের। এই মহামারীতেও (Corona pandemic) এখনও ৫০ শতাংশ মানুষ মাস্ক (Mask) পরেন না। ৬৪ শতাংশ মানুষ এমনভাবে মাস্ক পরেন যে তাদের নাক চাপাই পরে না।বৃহস্পতিবার এমনটাই জানালেন স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Union Health Ministry) যুগ্ম সেক্রেটরি লভ আগরওয়াল (Lav Agarwal)।

কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য দফতরের যুগ্ম সেক্রেটরি লভ আগরওয়াল (Lav Agarwal) বলেন, “দেশের ৮টি রাজ্যে এখনও পর্যন্ত আক্রান্তের সংখ্যা ১ লক্ষের বেশি। ৯টি রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজার থেকে ১ লক্ষের মধ্যে। ১৯টি রাজ্যে আক্রান্তের সংখ্যা ৫০ হাজারের কম।” স্বাস্থ্যমন্ত্রক সূত্রে খবর, গত কয়েক সপ্তাহে দেশে করোনা পরীক্ষার হার বহুগুণ বেড়েছে। দেশের মধ্যে ৭টি রাজ্যে পজিটিভিটির হার ২৫ শতাংশের বেশি। ২২ রাজ্যে পজিটিভিটির হার ১৫ শতাংশের বেশি। পশ্চিমবঙ্গ এবং কর্নাটকে যেভাবে পজিটিভিটির হার বাড়ছে তা বেশ উদ্বেগজনক।

স্বাস্থ্য দফতর মারফত জানানো হয়েছে, গত ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি থেকে কোভিড -১৯ এর পরীক্ষায় ধারাবাহিকভাবে বাড়ানো হয়েছে। গত ১২ সপ্তাহ আক্রান্তের সংখ্যা ক্রমাগত বাড়ার পর অবশেষে কমতে শুরু করেছে দৈনিক সংক্রমণ। জেলাগুলোতেও পজিটিভিটির হার কমতে শুরু করেছে। সামাজিক দূরত্ব এবং মাস্ক ব্যবহারের উপর জোর দিয়েছে স্বাস্থ্য দফতর।

এদিনই আইসিএমআর(ICMR)-এর চিকিৎসক ডাক্তার বলরাম ভার্গভ (Dr Balram Bhargava) বলেন, “দৈনিক ২৫ লক্ষ করোনা পরীক্ষার টার্গেট নিয়েছে কেন্দ্র। জুন শেষ হতে হতে ৪৫ লক্ষ করোনা পরীক্ষার টার্গেট নেওয়া হয়েছে।” প্রসঙ্গত, বুধবারই একদিনে ২০ লক্ষ করোনা পরীক্ষা করে এই রেকর্ড তৈরি করেছে ভারত।

বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রকের (Health Ministry) দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় গোটা দেশে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ২ লক্ষ ৭৬ হাজার ৭০ জন। বুধবারের তুলনায় আক্রান্তের সংখ্যা প্রায় ১০ হাজার বেশি। বুধবার ২ লক্ষ ৬৭ হাজার ৩৩৪ জন আক্রান্ত হয়েছিলেন। গত ২৪ ঘণ্টায় মৃতের সংখ্যা অবশ্য কমেছে। বুধবার যেখানে ৪ হাজার ৫২৯ জনের মৃত্যু হয়েছিল সেখানে বৃহস্পতিবারের রিপোর্ট বলছে গত ২৪ ঘণ্টায় ৩ হাজার ৮৭৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.