মেরঠ: পিতৃহারা হলেন আর এক ভারতীয় ক্রিকেটার৷ দীর্ঘ রোগভোগের পর বৃহস্পতিবার মারা যান ভারতীয় দলের ডানহাতি পেসার ভুবনেশ্বর কুমারের (Bhuvneshwar Kumar) বাবা কিরণ পাল সিং (Kiran Pal Singh)৷ মেরঠে নিজের বাসভবনে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন প্রাক্তন উত্তরপ্রদেশ পুলিশের সাব-ইন্সপেক্টর কিরণবাবু৷ মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর৷
দীর্ঘদিন ধরে লিভার ক্যানসারে ভুগছিলেন কিরণবাবু৷ ভারতীয় দলের এই ক্রিকেটারের বাবার চিকিৎসা চলছিল দিল্লির এইমসে (All Institute of Medical Science)৷ ইংল্যান্ডের বিশেষজ্ঞের তত্ত্ববধানে কেমোথেরাপির চলছিল কিরণ বাবুর৷ কিন্তু সেখান থেকে মেরঠে নিজের বাড়িতে ফেরেন ভুবির বাবা৷ তবে সপ্তাহ দু’য়ে আগে হঠাৎ করে শরীর খারাপ হওয়ায় মেরঠের এক প্রাইভেট হাসপাতে ভর্তি করা হয়েছিল৷ সেখান থেকে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছিলেন তিনি৷ কিন্তু হাসপাতাল থেকে ছাড়া পাওয়ার দু’দিন পর অর্থাৎ বৃহস্পতিবার নিজের বাসভবনে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন কিরণবাবু৷
গত বছর সেপ্টম্বরে মরু শহরে ভুবনেশ্বর কুমার যখন সানরাইজার্স হায়দরাবাদের হয়ে আইপিএল খেলছিলেন, তখন তাঁর বাবার লিভার ক্যানসার ধরা পড়ে৷ তারপর থেকে চিকিৎসা শুরু হয়৷ কিরণ পাল সিং উত্তরপ্রদেশ পুলিশে চাকরি করতেন। কিন্তু চাকরি থেকে স্বেচ্ছ্বাবসর নিয়েছিলেন। ভুবি ইংল্যান্ড সফরে ভারতীয় দলে সুযোগ না-পাওয়ায় বাড়িতে বাবা’র দেখভাল করছিলেন৷ কিন্তু শেষরক্ষা হল না৷ কয়েকদিন আগেই কোভিডে বাবাকে হারিয়েছেন টিম ইন্ডিয়ার দুই প্রাক্তন ক্রিকেটার পীযুষ চাওলা ও আরপি সিং৷
ভুবনেশ্বর ইংল্যান্ড সফরের ভারতীয় টেস্ট দলে জায়গা না-পেলেও জুলাইয়ের শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য সীমিত ওভারের জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া কার্যত নিশ্চিত। শোনা যাচ্ছে, দ্বীপরাষ্ট্র সফরে তিনটি ওয়ান ডে এবং তিনটি টি-২০ ম্যাচের জন্য ভুবিকে ক্যাপ্টেন হিসেবেও ভাবতে চলেছেন নির্বাচকরা৷ এই সিরিজের কোচ হিসেবে রাহুল দ্রাবিড়ের থাকার সম্ভাবনা বেশি৷ তবে শ্রীলঙ্কা সফরে দ্বিতীয় সারির দল পাঠাবে ভারত৷ কিন্তু এ সময় বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মারা ইংল্যান্ডে থাকবেন৷ নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ার্ল্ড টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনালের পর ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ টেস্টের সিরিজে খেলবে টিম ইন্ডিয়া৷ তবে প্রথম টেস্ট শুরু হবে ৪ অগস্ট নটিংহ্যামে৷
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.