লাদাখে শীত কাটতেই ফের নাছোড়বান্দা লালফৌজের উপস্থিতি বাড়ছে , চিনের স্টান্সে ফোকাস ভারতের
শীত কেটে যেতেই ফের লাদাখ সীমান্তে চিনের পিএলএ-র বাড়বাড়ন্ত দেখা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত ২০২০ সালের ৫ মে থেকে লাদাখ ভূখণ্ডে চিনের সেনার প্রবল আগ্রাসী দাপট দেখা দিতে শুরু করে। পরবর্তীকালে তা গালওয়ানের মল্লযুদ্ধে গড়ায়। কয়েক মাসের সংঘাতের বাতাবরণের পর শেষে শীতকাল পড়তেই পিছু হটতে থাকে শীতকালীন যুদ্ধে অপটু বেজিংয়ের সেনা। এরপর আরও একটা মে মাস। ফের একবার লাদাখ বরফ গলিয়ে গরমের দিকে এগোচ্ছে!

লাদাখ সীমান্ত জুড়ে চিনা সেনা!
এক সংবাদমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, লাদাখ সীমান্ত জুড়ে চিনা সেনা সেই সমস্ত জায়গায় কুচকাওয়াজ করছে, যেখানে তারা বহু আগে মোতায়েন থেকে কুচকাওয়াজ চালিয়ে যেত। লালফৌজের এই 'এক্সারসাইজ' দিল্লি বেশ কড়া নজরে দেখছে। চিনের এই নয়া স্টান্স বলে দিচ্ছে, শত আলোচনা র পরও তারা গোগরা , হটস্প্রিংয়ের মতো জায়গা ছেড়ে সহজে পিছু হঠতে চাইছে না।

স্থায়ী নির্মাণ সম্পন্ন চিনের!
শুধু লাদাখের সীমান্তে লালফৌজের উপস্থিতির মাধ্যমেই যে চিন জানান দিচ্ছে যে লাদাখ ইস্যুতে তারা অনড়, তা নয়। সেখানে জিংজিয়াং প্রদেশে কাংজিওয়্যারে চিনা সেনা গোপন নির্মাণ সম্পন্ন করেছে। আকসাই চিনের উত্তরে রয়েছে তাদের স্থাপিত কিছু নির্মাণ। প্যানগংয়ের কাছাকাছিও রয়েছে তাদের নির্মাণ কাজ। ফলে লাদাখ নিয়ে যে বেজিং বেশ পোক্ত রণনীতিতে নেমেছে তা বলাই বাহুল্য।

যে পথে লাদাখে আগ্রাসন , সেই পথেই...
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের মে মাসে যে পথে লাদাখে আগ্রাসন ঘটিয়েছে চিনা সেনা, সেই পথের কাছাকাছি এলাকা জুড়ে ফের প্রবল হারে চিনা ফৌজের সংখ্যাবৃদ্ধি করেছে বেজিং। ফলে বিষয়টিকে খুব একটা ভালোভাবে নিচ্ছে না ভারত। করোনা পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে ২০২০ সালে লাদাখে আগ্রাসন দেখায় জিনপিংয়ের সেনা । এরপর ২০২১ সালে ভারত যখন প্রবলভাবে করোনার দ্বিতীয় স্রোতে বিধ্বস্ত তখন লাদাখ সীমান্তে লালফৌজের বাড়-বাড়ন্ত রীতিমতো আশঙ্কা তৈরি করছে।

জমি ছাড়ছে না ভারত
লাদাখ জুড়ে বরফ গলা শুরু হতেই লালফৌজের গতিবিধির দিকে নজর রেখে ভারতীয় সেনা নজরদারি শুরু করেছে। লাদাখ সীমান্তের ১০০ মিটারের মধ্যে চিনা সেনার এই তৎপরতায় সিঁদুরে মেঘ দেখছে ভারত। ফলে একচুল জমি ছাড়তে নারাজ দিল্লি এবার আরও বেশি সতর্কতায়।