দুপুরের পর রাত। শহরের একের পর এক অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা। বৃহস্পতিবার দুপুরে পার্কস্ট্রিটের একটি বহুতলে বিধ্বংসী এই আগুন লাগে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই ফের অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘিরে তীব্র আতঙ্ক তৈরি হয়েছে।
জানা যাচ্ছে, এদিন সন্ধ্যায় যুব কল্যাণ দফতরের একটি বহুতলে বিধ্বংসী এই আগুন লাগে। পাঁচ তলাতে এই আগুন লাগে। প্রচুর পরিমানে দাহ্য পদার্থ থাকায় মুহূর্তে তা ছড়িয়ে পড়ে।
কিন্তু বহুতলটি পুরানো হওয়াতে আগুনের উতসে পৌঁছতে পারছেন না দমকলকর্মীরা। তবে ল্যাডার এনে বহুতলের একটা অংশে জল দেওয়ার কাজ চলছে।
জানা যাচ্ছে এখনও পর্যন্ত দমকলের ১৫টি ইঞ্জিন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করছে। বহুতলের চারপাশ দিয়ে আগুন নেভানোর কাজ চালানো হচ্ছে। তবে আগুনের তীব্রতা এতটাই বেশি যে আগুনের উতস্যস্থলে পৌঁছতে পারেনি দমকলের কর্মীরা।
ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে পৌঁছেছেন দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। কথা বলছেন দমকল কর্মীদের সঙ্গে। কীভাবে এই আগুন লাগার চেষ্টা করছেন তিনি। দমকলের অনুমান পুরানো বিল্ডিং। শর্ট সার্কিট থেকেই এই আগুন লাগতে পারে বলে অনুমান। তবে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসলেই এই বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে বলে জানিয়েছেন দমকল কর্মীরা।
অন্যদিকে এদিন দুপুরে পার্কস্ট্রিটের বহুতলের শাড়ির গোডাউনে আগুন লাগে। প্রচুর পরিমাণে দাহ্য পদার্থ থাকায় সেখানে দ্রুত আগুন ছড়িয়ে বলে দাবি দমকলের। মুহূর্তের মধ্যে দমকলের তরফে নিয়ে আসা হয় ল্যাডার। সেই ল্যাডারের মাধ্যমে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করা হয়।
তবে লকডাউন চলায় গোডাউনের মধ্যে কেউ ছিল না বলে জানা যায়। তবে আগুন যাতে আশেরপাশের বিল্ডিংয়ে না ছড়িয়ে পড়ে সেজন্যে বাড়তি সতর্কতা রাখা হয় দমকলের তরফে। দমকলকর্মীরা যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ শুরু করেন। আগুন আয়ত্বে আনার চেষ্টা করলেও তা দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে।
আশেপাশের বিল্ডিংয়েও তা ছড়ানোর আশঙ্কা তৈরি হয়। আতঙ্কিত হয়ে পড়েন মানুষজন। বহুতলের অন্যান্য বাসিন্দারা নিজে নেমে আসেন। তবে দমকলের তৎপরতায় দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রনে আনা হয়।
তবে টেলিফোন ভবনের পাশে যে আগুন লেগেছে তা এখনও আয়ত্তে আসেনি। তবে দমকলকর্মীদের আশা, কিছুক্ষণের মধ্যেই তা নিয়ন্ত্রণে এসে যাবে।