স্টাফ রিপোর্টার, বারাকপুর: নারদ কাণ্ড (Narada Scam Case) নিয়ে যখন উত্তাল রাজ্য-রাজনীতি, ঠিক সেই সময় বারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংয়ের (Arjun Singh) বাড়িতে হানা দিল সিআইডির (CID) এক প্রতিনিধি দল। সমবায় ব্যাঙ্ক দুর্নীতির অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অর্জুনকে ভবানীভবনে তলব করা হয়েছে।

আরও পড়ুন: শোভনের কেবিনে বৈশাখীর প্রবেশ আটকাতে সুপারকে চিঠি দেবেন রত্না

বৃহস্পতিবার, রাত সাড়ে আটটা নাগাদ জগদ্দলের মেঘনা মোড়ে অর্জুন সিংয়ের বাড়ি মজদুর ভবনে সিআইডির একটি দল পৌঁছায়। সেই সময় বাড়িতে ছিলেন না সাংসদ। বাড়ির বাইরে প্রায় এক ঘণ্টা অপেক্ষা করেন সিআইডি আধিকারিকরা। কিন্তু অর্জুন সিং না ফেরায় মজদুর ভবনের দেওয়ালে নোটিশ সেঁটে দেন তাঁরা। সেখানে আগামী ২৫ মে বেলা ১১টায় ভবানী ভবনে হাজিরা দিতে বলা হয়েছে তাঁকে।

এপ্রসঙ্গে সংবাদমাধ্যমে অর্জুন সিং বলেন, ‘সুপ্রিম কোর্ট থেকে আমার রক্ষাকবচ নেওয়া আছে। আমায় ডাকতে পারে, কিন্তু গ্রেফতার করতে পারবে না।’ সেইসঙ্গে তৃণমূলের বিরুদ্ধে পালটা প্রতিহিংসার রাজনীতির অভিযোগ করেছেন তিনি৷

আরও পড়ুন: প্রশাসনিক স্তরে বড়সড় রদবদল, সরানো হল নির্বাচন কমিশনের দুই কর্তাকে

ভাটপাড়া–নৈহাটি সমবায় ব্যাংকের ওই দুর্নীতির ঘটনায় বিজেপি সাংসদ হয়েও অর্জুন সিংয়ের বাড়িতে বারবার তল্লাশি হয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই ঘটনায় ভাটপাড়া–নৈহাটি সমবায় ব্যাংকের এক আধিকারিককে গ্রেফতারও করা হয়েছে। গ্রেফতার হয়েছেন ভাটপাড়া পুরসভার এক ঠিকাদারও। প্রসঙ্গত,  ২০১০ থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত ভাটপাড়া পুরসভার চেয়ারম্যান ছিলেন অর্জুন সিং। ভাটপাড়ার চেয়ারম্যান হওয়ার পরে অর্জুন একটি বেসরকারি ব্যাঙ্কের বারাকপুর শাখায় ‘চেয়ারম্যান’স রিলিফ ফান্ড’ নামে একটি অ্যাকাউন্ট খোলেন বলে অভিযোগ। পরে ওই ব্যাঙ্কেরই ভাটপাড়া শাখায় একাউন্টটি সরিয়ে আনা হয় বলে জানানো হয়েছে। অভিযোগ, বছরের পর বছর ধরে অর্জুন সিং ব্যক্তিগত ভাবে ওই অ্যাকাউন্টটিতে লেনদেন চালিয়ে গিয়েছেন৷ তাঁর বিরুদ্ধে ১৩ কোটি টাকা বেনামি অ্যাকাউন্টে ট্রান্সফারের অভিযোগ ওঠে। নারদ মামলা নিয়ে সিবিআই অতি তৎপরতা দেখানোর ফলেই পাল্টা বিজেপি সাংসদের বাড়িতে সিআইডির নোটিশ পড়ল বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল৷

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.