আমন্ত্রিতদের তালিকাতেও কাঁটছাঁট
এমনকী সরকারি প্রতিনিধিত্ব ছাড়া মোট আমন্ত্রিতদের তালিকায় ছিলেন মাত্র ৫০০ জন। এদিকে কেরলে ১৪১টি বিধানসভা আসনের মধ্যে বিজয়নের নেতৃত্বে বামেদের এলডিএফ ৯৯টি-তে জিতে ক্ষমতায় ফিরেছে। তৈরি হয়েছে নতুন ইতিহাস। ৪০ বছর পর এই প্রথম কোনও রাজনৈতিক দল দ্বিতীয়বারের জন্য কেরলে ক্ষমতা ধরে রাখস। সেখানে কংগ্রেসের জোট ইউডিএফ পেয়েছে ৪৭টি আসন। জোর প্রচার করেও বিজেপি একটি আসনও পায়নি।
সিপিএম-র পরিষদীয় দলনেতাও নির্বাচিত হয়েছেন
এদিকে ইতিমধ্যেই সংসদে সিপিএম-র পরিষদীয় দলনেতাও নির্বাচিত হয়েছেন পিনারাই বিজয়ন। কেরল তাঁর হাত ধরে বড় জয় আসার পর থেকেই এই নিয়ে জল্পনা-কল্পনা চলছিল। অবশেষে দুদিন আগেই দলের তরফে এই বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। প্রসঙ্গত উল্লেথ্য, এবার কেরল মন্ত্রিসভায় বড় চমক দেখা গিয়েছে। যা নিয়ে গত কয়েকদিন ধরেই সরগরম কেরলের রাজ্য-রাজনীতি।
মন্ত্রিসভাতেও বড় রদবদল
নতুন মন্ত্রিসভায় পুরনো মুখ হিসাবে একমাত্র মুখ্যমন্ত্রী পিনরাই বিজয়নই থাকছেন বলে জানা যাচ্ছে। বাদে পড়েছে সমস্ত নতুন মুখে। বদলে পিনারাই ক্যাবিনেটে সিপিএমের তরফে জায়গা পেয়েছেন ১১ মন্ত্রী। পাশাপাশি এলডিএফ থেকে সিপিআইয়ের চারজন নতুন মুখ থাকছে বলে জানা যাচ্ছে। এদিকে দ্বিতীয়বারের জন্য কেরলের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিলেও কেরলের বাম রাজনীতিতে সিপিএমের এই বরিষ্ঠ নেতার হাতেখড়ি ষাটের দশকেই।
একনজরে বিজয়নের রাজনৈতিক উত্থান
১৯৬৪ সালে ছাত্র জীবনেই নাম লেখান ভারতের কমিউনিস্ট পার্টিতে(মার্ক্সবাদী)। এরপর কান্নুর জেলা থেকে কেরল স্টুডেন্টস ফেডারেশনের জেলা সেক্রেটারি নিয়োজিত হন। পরে এই ছাত্র সংগঠন ও আরও কিছু প্রাদেশিক ছাত্র সংগঠনের যোগফল ভারতের ছাত্র সংগঠন বা এসএফআই হিসাবে পরিচিতি লাভ করে দেশজুড়ে। এমনকী ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার সময়ে জেলেও খেটেছেন পিনারাই। ২০০২ সালে প্রথম তিনি জায়গা পান পলিটব্যুরোতে।