ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবেই মুষলধারা রাজধানীতে
দেশের আবহাওয়া দফতরের পরিসংখ্যান বলছে বুধবার সকাল ৮টা ৩০ পর্যন্ত দিল্লিতে ১১৯.৩ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়েছে। যা ১৯৫১ সালের পর থেকে সর্বোচ্চ। তবে এই মুষলধারার বিছনে ঘূর্ণিঝড় তাউকত ও পশ্চিমী ঝঞ্ঝার হাত রয়েছে বলে মনে করছেন আবহাওয়াবিদেরা। এদিকে এই সময়ের ব্যবধানে ১৯৭৬ সালের ২৪ মে দিল্লিতে ৬০ মিলিমিটার বৃষ্টি হয়। কিন্তু এবারে তারও দ্বিগুণ পরিমাণ বৃষ্টিপাত হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।
সর্বনিম্ন তাপমাত্রাও স্বাভাবিকের ৫ ডিগ্রি নীচে
এদিকে একটানা বৃষ্টির জেরে দিল্লির তাপমাত্রাতেও বড়সড় পারাপতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। বুধবার দিল্লির সর্বনিম্ন তাপমাত্রা দাঁড়ায় ২১.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা মরসুমের স্বাভাবিক তামপাত্রার থেকে ৫ ডিগ্রি কম বলে জানাচ্ছে হাওয়া অফিস। বৃহঃষ্পতিবারই এই দিল্লির আবহাওয়ার এই গতিপ্রকৃতির কথা জানান আইএমডি-র আঞ্চলিক প্রধান কুলদীপ শ্রীবাস্তব।
বৃষ্টিপাত নিয়ে কী বলছে হাওয়া অফিস
এদিকে আবহাওয়াবিদদের মতে কোনও এলাকায় ১৫ মিলিমিটারের আশেপাশে বৃষ্টি হলে তা স্বাভাবিক বলেই ধরা হয়। কিন্তু তা যদি ১৫ থেকে ৬০ মিলিমিটারের মধ্যে ঘোরাফেরা করে তাহলে তাকে মাঝারি বৃষ্টিপাত বলেই ধরা হয়। ৬৪.৫ থেকে ১১৫.৫ মিলিমিটারের মধ্যে বৃষ্টি হলে তাকে ভারী ও ১১৫.৫ থেকে ২০৪.৫ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হলে তাকে অতিভারী বৃষ্টিপাত হিসাবেই ধরা হয়।
শ্রীনগরের থেকেও নামল তাপমাত্রা
অন্যদিকে বর্তমানে এই সময়ে দিল্লিতে যে পরিমাণ তাপমাত্রার পারাপতন দেখা গেছে তাও গত ৭০ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন বলে জানা যাচ্ছে। এমনকী বুধবার দিল্লির সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৩.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা স্বাভাবিকের থেকে ১৬ ডিগ্রি কম। এমনকী বুধবারই দিল্লির তাপমাত্রা পার্বত্য শহর শ্রীনগরেরও নীচে নেমে যায়। শ্রীনগরে বুধবার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৫.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ধর্মশালায় ছিল ২৭.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।