করোনা ভাইরাসের টিকা গেস্ট হাউসে নয় হাসপাতালেই নিয়েছেন কুলদীপ যাদব, তা সাফ জানিয়ে দিলেন কানপুরের সিটি ম্যাজিস্ট্রেট হিমাংশু গুপ্ত। এ ব্যাপারে সোশ্যাল মিডিয়ায় ভারতীয় স্পিনারের যে ছবি প্রচারিত হয়েছে, তাঁকে গিমিক বা চটক বলে উড়িয়ে দিয়েছেন ওই প্রশাসনিক কর্তা। ক্রিকেটারের সঙ্গে কোনও কথা না বলেই তাঁকে নির্দোষ ঘোষণা করেছেন হিমাংশু গুপ্ত।
বিসিসিআইয়ের নির্দেশে কোভিড ১৯-এর টিকাকরণ প্রক্রিয়ায় হয়েছেন কুলদীপ যাদবও। গত শনিবার অর্থাৎ ১৫ মে কোভিশিল্ডের প্রথম শট নিয়েছিলেন ভারতীয় স্পিনার। কিন্তু ব্যবস্থাপনায় তিনি গরমিল করে ফেলেন বলে অভিযোগ। প্রশাসনিক সূত্রে খবর, উত্তরপ্রদেশের গোবিন্দ নগরের জাগেশ্বর হাসপাতালে টিকা নেওয়ার কথা ছিল কুলদীপের। পরিবর্তে তিনি কানপুরের নগর নিগম গেস্ট হাউসে কোভিশিল্ড টিকা নিয়েছেন বলে অভিযোগ।
টিকা নেওয়ার পর সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি ছবি পোস্ট করেছিলেন কুলদীপ যাদব। আর তা নিয়েই বিতর্কের সূত্রপাত। যেখানে বাঁ-হাতি চায়নাম্যানকে কোনও সবুজ ঘাসে মোড়া বাগানে বসে টিকা নিতে দেখা যায়। তা যে কোনও হাসপাতাল হতে পারে না, তা মেনে নিয়েই কুলদীপের বিরুদ্ধে সরকারি নিয়মভঙ্গের অভিযোগ আনা হয়। অতিমারীর ভয়াল পরিস্থিতিতে ভারতীয় ক্রিকেটারের এই আচরণে স্বভাবতই ক্ষুব্ধ হয় প্রশাসন। কেন সরকারি বিধি ভাঙলেন কুলদীপ, তা নিয়ে তদন্ত শুরু হয়। উত্তরপ্রদেশের জেলাশাসক অলোক তিওয়ারির নির্দেশে তদন্তে নামেন সহকারি জেলাশাসক অতুল কুমার।
ঘটনার জল কানপুরের সিটি ম্যজিস্ট্রেট হিমাংশু গুপ্তের কাছে পৌঁছতেই তিনি বিতর্ক সেখানেই থামিয়ে। কুলদীপের সঙ্গে কোনও কথাবার্তা না বলেই তাঁকে নির্দোষ ঘোষণা করেন ওই প্রশাসনিক কর্তা। প্রমাণ হিসেবে উত্তরপ্রদেশের গোবিন্দ নগরের জাগেশ্বর হাসপাতালে রেজিস্ট্রার খাতা দেখান হিমাংশু গুপ্ত। যেখানে ভারতীয় ক্রিকেটারের নাম নথিভূক্ত রয়েছে।
ইংল্যান্ডগামী ভারতীয় দলে সুযোগ না পেলেও বিধি মেনে শনিবার কোভিশিল্ডের প্রথম শট নেন কুলদীপ যাদব। সেই ছবি তিনি নিজের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টে পোস্ট করেছিলেন। সহ-নাগরিককে কোভিড ১৯-এর টিকা নেওয়ার জন্য উদ্বুদ্ধও করেছিলেন বাঁ-হাতি চায়নাম্যান। যিনি দেশের টেস্ট দল থেকে বাদ পড়েও হতাশ হতে রাজি নন। শ্রীলঙ্কা সফরের জন্য ভারতীয় দলে জায়গা করে নেওয়াই তাঁর লক্ষ্য বলে ঘনিষ্ঠ মহলে জানিয়েছেন কুলদীপ।