এই মুহূর্তে আমরা প্রত্যেকেই নিজেরা সুস্থ থাকার পাশাপাশি আমাদের পরিবারকে সুস্থ রাখতে চাই।
মহামারীর যে বিষাক্ত নিঃশ্বাস চারিদিকে ছড়িয়ে গেছে তার মধ্য থেকে সুস্থ থাকাটা খুবই কঠিন তবে তা অসম্ভব নয় এটাও আমরা জানি।
দিনে দিনে আক্রান্তের সংখ্যা এবং মৃত্যুর সংখ্যা লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে এই রাজ্যে। এরমধ্যে ঘোষিত হয়েছে লকডাউন (lockdown)।
এরপরে মহামারীর দাপট (corona) অনেকটাই কমবে বলে ধারণা করা যাচ্ছে। তবে বিপদ শেষ হবে না।
২০২০ সালের মতোই ২০২১ সালেও আমাদেরকে একই রকম ভাবে নিজেদের সুরক্ষা এবং পরিবারের সুরক্ষার কথা ভাবতে হবে।
আপনাদেরকে জানানো হলো এমন কিছু সহজ বিষয় যা আপনারা মানতে পারেন এবং পরিবারের জন্য সুরক্ষা ব্যবস্থা নিতে পারেন।
আমাদের প্রতিদিনের জীবন ধারার সঙ্গে (lifestyle) জড়িত এই বিষয়গুলি খুবই সাধারণ হলেও এই মুহূর্তে এই বিষয়গুলি আমাদের সুস্থ এবং মহামারী থেকে মুক্ত রাখতে পারে।
১. স্যানিটাইজেশন (sanitization): গত ২০২০ সাল থেকেই এই শব্দটির সঙ্গে আমরা সকলেই পরিচিত হয়ে পড়েছি।
বাড়িতে করোনা আক্রান্ত রোগী থাকুক বা না থাকুক প্রতি সপ্তাহে একদিন করে পুরো বাড়ি স্যানিটাইজ (sanitization) করা ভাল।
হাতের গ্লাভস এবং মাস্ক অবশ্যই পরে নেবেন বাড়ি পরিষ্কার করার সময়।
বিশেষ করে এমন কিছু জায়গা যেগুলিতে প্রায় প্রত্যেকের স্পর্শ লাগে যেমন টেবিল, ড্রেসিং রুম, জানলার কোন, দেওয়াল সেগুলি ভালো করে স্প্রে (sanitization) করে দেবেন।
২. বিছানার চাদর: প্রতিদিন সম্ভব না হলেও সপ্তাহে অন্তত দু’দিন বাড়ির প্রতিটি ব্যক্তির ব্যবহৃত বিছানার চাদর পরিষ্কার করুন।
পাশাপাশি বালিশের কভার এবং গায়ে দেওয়ার চাদরও ভালো করে পরিস্কার করবেন। টিভির কভার, টেবিলের কভার, ল্যাপটপ বা কম্পিউটারের কভার থাকলে সেগুলোও ভালো করে ধুয়ে নেবেন।
৩. বাথরুম: একই বাথরুম পরিবারের সকলে এই সময় ব্যবহার করবেন না।
যদি অন্য বাথরুম ব্যবহার করার সুযোগ না থাকে তবে প্রতিটি ব্যক্তি বাথরুমে প্রবেশের আগে ভালো করে সেখানে জল ঢেলে পরিষ্কার করে নেবেন।
বাথরুমের দেওয়ালে সচরাচর হাত দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। এছাড়াও বাথরুমের কমোড, ফ্লাশ, মগ, গামলা, বালতি এগুলি প্রায় প্রতিদিনই পরিষ্কার রাখার চেষ্টা করুন।
সেই সঙ্গে সপ্তাহে একদিন স্যানিটাইজ (sanitization) করার ব্যবস্থা করবেন।
৪. ব্যবহৃত বস্তু: এই সময়ে আপনি যে জিনিসগুলি প্রতিদিন ব্যবহার করছেন সেগুলি পরিবারের থেকে আলাদা করে নেবেন এবং যারা ছোট সদস্য রয়েছে পরিবারে তাদের জন্য একেবারে আলাদা করে জিনিস গুলো রেখে দেবেন।
এই জিনিসগুলোর মধ্যে পড়ছে ওষুধের বাক্স অক্সিমিটার থার্মোমিটার এমন কিছু জিনিস যা রোগী স্পর্শ করেছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.