দর্শক প্রবেশের অনুমতি
হ্যাম্পশায়ার কাউন্টি ক্লাবের প্রধান রড ব্র্যানসগ্রোভ জানিয়েছেন, ইংল্যান্ডে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি হওয়ায় এবার কাউন্টি ম্যাচগুলিতে দর্শক প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। এজিয়াস বাউল, যেখানে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল হবে, সেখানে লেস্টারশায়ার ও হ্যাম্পশায়ারের মধ্যে ম্যাচে দেড় হাজার দর্শক মাঠে বসে খেলা দেখবেন। ২০১৯ সালের সেপ্টেম্বরের পর এই প্রথম ইংল্যান্ডের ক্রিকেট মাঠে দর্শকদের প্রবেশের অনুমতি মিলেছে। ভারত-নিউজিল্যান্ড ফাইনাল মাঠে বসে দেখবেন চার হাজার দর্শক। তার মধ্যে স্পনসর-সহ বাকিদের জন্য দুই হাজার টিকিট আইসিসি নিজেদের হাতে রাখছে। বাকি দুই হাজার টিকিট বিক্রি করা হবে। যদিও চাহিদা ইতিমধ্যেই তার কয়েক গুণ।
নিয়মের অপেক্ষা
এরই মধ্যে ফাইনালের নিয়ম সংক্রান্ত ব্যাপার জানতে চেয়ে আইসিসিকে ইতিমধ্যেই আইসিসিকে চিঠি দেওয়া হয়েছে। এই সময়টায় ইংল্যান্ডে বৃষ্টি হয়। ফলে বৃষ্টিতে খেলায় বিঘ্ন ঘটলে কী হবে তা জানতে চাওয়া হয়েছে। যেহেতু বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল একেবারেই নতুন বিষয় তাই প্লেয়িং কন্ডিশনের দিকে তাকিয়ে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। একটি রিজার্ভ ডে রাখা হলেও অনেকেই মনে করছেন তা পর্যাপ্ত নয়। কারণ আলোর অভাব ও বৃষ্টিতে পুরো সময় খেলা না হলে সমস্যা বাড়বে। যদিও জানা গিয়েছে, ম্যাচ অমীমাংসিত থাকলে যুগ্ম চ্যাম্পিয়ন ঘোষণা করা হবে।
দারুণ চ্যালেঞ্জ
আইসিসি বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ফাইনাল নিয়ে বলতে গিয়ে উইলিয়ামসন বলেন, ভারতের সঙ্গে যখনই খেলি তখনই সেটা দারুণ চ্যালেঞ্জের ব্যাপার হয়। ফের তাদের বিরুদ্ধে খেলতে আমরা মুখিয়ে রয়েছি। সত্যিই খুব উত্তেজক ফাইনালই হতে চলেছে। ফাইনালে জিততে পারলে সেটা আরও ভালো বিষয় হবে। বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের খেলাগুলি যেভাবে হয়েছে তাতে ভালোরকম উত্তেজনাই ছিল। টানটান প্রতিদ্বন্দ্বিতা হয়েছে। বিশেষ করে উল্লেখ করতে হবে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ এবং নিউজিল্যান্ড-পাকিস্তান সিরিজের কথা। যে কঠিন লড়াই করে সিরিজ জিততে হয়েছে তা সত্যিই অনবদ্য।
টার্গেট কেন
মহম্মদ সিরাজের ভালো পারফরম্যান্সের সুবাদে ভারতের টেস্ট দলের প্রথম একাদশে জায়গা পাওয়াটা অনেকটাই কঠিন হয়ে গিয়েছে উমেশ যাদবের পক্ষে। উমেশ অবশ্য বলেছেন, দ্রুত কেন উইলিয়ামসনকেই প্যাভিলিয়নে ফেরত পাঠাতে হবে। তাঁর কথায়, কেনের খেলার সঙ্গে আমরা পরিচিত। তবে আমি মনে করি না নিউজিল্যান্ডের অধিনায়কের ব্যাটিংয়ে খুব বেশি দুর্বল দিক রয়েছে। তবে একজন ভালো ব্যাটসম্যানকে আউট করতে একটা ভালো বলই যথেষ্ট। তাই একজন ফাস্ট বোলারের লক্ষ্য রাখতে হবে নিজের শক্তির উপর আর যে বলে উইকেট পাওয়া যেতে পারে তেমন বোলিংই ধারাবাহিকভাবে চালিয়ে যেতে হবে। আর কেনকে দ্রুত ফেরাতে পারলে তা দলের কাজ অনেকটাই সহজ করে দেবে।
প্রতিপক্ষ নিয়ে উমেশ
নিউজিল্যান্ডকে সমীহ করে উমেশ যাদব বলেন, নিঃসন্দেহে ওরা শক্তিশালী দল। ব্যাটিং গভীরতা রয়েছে। ভালো বোলাররাও যে কোনও মুহূর্তে প্রতিপক্ষ ব্যাটিংকে সমস্যায় ফেলতে পারেন। সবমিলিয়ে ফাইনালে অবশ্যই টাফ লড়াই হবে। ইংল্যান্ডের পরিবেশও বড় চ্যালেঞ্জ, সেটার সঙ্গেও দ্রুত মানিয়ে নিতে হবে। তবে টেস্ট দলের প্রত্যেকেই জানেন নিজেদের কাজটা। প্রতি সেশনে নিজেদের পরিকল্পনা সঠিকভাবে প্রয়োগের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে। উল্লেখ্য, নিরপেক্ষ কোনও জায়গায় ভারত ও নিউজিল্যান্ড টেস্টে পরস্পরের মুখোমুখি হয়নি। ঘরের মাঠে ভারতীয়রা দাপট দেখালেও নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে রেকর্ড খুব একটা ভালো নয়। ভারত দেশের বাইরে কিউইদের কাছে হেরেছে দশবার, জিতেছে পাঁচটিতে, দশটি টেস্ট ড্র হয়েছে।