এভারেস্টের সূক্ষ্ম বরফ খণ্ড বিস্ফোরিত ঘূর্ণিঝড়ে
ভয়ঙ্কর ঘূর্ণিঝড়ের কারণে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সোমবার গুজরাটে ভূমিধস হয়েছে। তারপরে উত্তর-উত্তর পূর্বে এগিয়ে গিয়েছে ঘূর্ণিঝড়। আছড়ে পড়ার পর খানিক দুর্বল হয়ে পড়লেও বৃহত্তর হিমালয়ের তুষার ঢাকা চূড়ায় আঘাত হেনেছে ঘূর্ণিঝড়। তার ফলে এভারেস্টের সূক্ষ্ম বরফ খণ্ড বিস্ফোরিত হয়েছে। উড়ে গিয়েছে তাঁবু।
ঘূর্ণিঝড়ের ফলে বিশাল তুষারপাতের বিপদ
নেপাল এই ঘূর্ণিঝড়ের বিপদ থেকে আগই সতর্ক করেছিল পর্বতারোহীদের। ঘূর্ণিঝড়ের ফলে বিশাল তুষারপাতের বিপদ সম্পর্কে পর্বতারোহীদেরকে সতর্ক করা হয়েছিল। সেই পূর্বাভাসমতোই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে বরফ ঝড় শুরু হয়েছিল, যা মাউন্ট এভারেস্টের চতুর্থ ক্যাম্পে প্রায় তিন ডজন তাঁবু উড়িয়ে দিয়েছে। বিশ্বের সর্বোচ্চ শিখরে অনেক পর্বতারোহী মৃত্যুর মুখে পড়ে যান।
ঘূর্ণিঝড়ের মুখে পড়ে শেরপার মৃত্যু এভারেস্টে
নেপালের পক্ষ থেকে এভারেস্ট অভিযান বন্ধ রাখতে বলা হয়েছিল। কিন্তু সেই নিষেধাজ্ঞায় কান দেয়নি অনেকে। তারই ফলশ্রুতিতে ঘূর্ণিঝড়ের মুখে পড়ে পেম্বা তাশি শেরপা (২৭) যখন ক্যাম্প ২ থেকে ক্যাম্প ১-এ নামছিলেন, তখন তিনি ছিটকে পড়েন। মঙ্গলবার ভোর পাঁচটা তাঁকে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়।
ঘূর্ণিঝড় তাউকটের মুখে হিমালয়ের পর্বতারোহীরা
নেপালের পর্যটন দফতরের এক আধিকারিক এই খবর জানিয়েছেন। সোমবার রাতে তাঁবু উড়িয়ে দিয়েছিল ঘূ্র্ণিঝড় তাউকটে। এরপর কর্তৃপক্ষ মঙ্গলবার সকালে শেরপার মরদেহ উদ্ধার করে। নেপালের আবহাওয়া পূর্বাভাস বিভাগ সোমবার সন্ধ্যায় একটি বিশেষ আবহাওয়া বুলেটিন জারি করেছিল। ঘূর্ণিঝড় তাউকটের সম্ভাব্য প্রভাবের কারণে পর্বতারোহীদের অবস্থান জানাতেই এই বুলেটিন।
ঘূর্ণিঝড় তাউকটের পরোক্ষ প্রভাব অনুভূত নেপালেও
আবহাওয়া পূর্বাভাস বিভাগের সিনিয়র আবহাওয়াবিদ প্রতিভা মানান্ধা বলেন, "যদিও নেপালে তাউকটে সরাসরি প্রভাব ফেলছে না, তবে এর পরোক্ষ প্রভাব দেশে অনুভূত হতে পারে।" সেইমতোই তাউকটে আরও উত্তর এবং উত্তর-পশ্চিম নেপালের দিকে এগিয়ে চলেছে। কর্ণালী, সুদুরপাশিম, গন্ডাকী এবং লুম্বিনি প্রদেশের অংশগুলিতে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়েছে এবং শুক্রবার পর্যন্ত এই আবহাওয়া থাকবে।