ডাক্তারদের চিঠি
টোকিও মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগাকে চিঠি লেখা হয়েছে। চিঠি লেখা হয়েছে টোকিও গভর্নর য়ুরিকো কোইকে ও ইভেন্টের আয়োজক কমিটির প্রধান সেইকে হাশিমোটোকেও। এই মুহুর্তে অলিম্পিক্স বাতিল করে দেওয়াই বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে পরামর্শ দিয়েছেন ডাক্তারদের ওই সংগঠন। তাদের বক্তব্য, সামান্য নাড়াচাড়ার মাধ্যমেই কোভিড ১৯-এ সংক্রমিত হচ্ছেন মানুষ। অলিম্পিক্স ও প্যারালিম্পিক্সের কারণে বিশ্বে মারণ ভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে গেলে জাপানকে বড় মূল্য চোকাতে হবে বলে সরকারকে সাবধানও করেছেন ডাক্তাররা।
করোনা ভাইরাসের চতুর্থ ঢেউ
টোকিও মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফে লেখা চিঠিতে বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাসের প্রথম তিনটি ঢেউ কোনও মতে সামাল দেওয়া গিয়েছে। চতুর্থ ঢেউ জাপানে ইতিমধ্যেই প্রভাব বিস্তার করতে শুরু করেছে বলে সতর্ক করেছেন ডাক্তাররা। তাঁদের বক্তব্য, করোনার সংক্রমণ এতটাই বেড়ে গিয়েছে যে জাপানের হাসপাতালগুলির কার্যত সব শয্যা পরিপূর্ণ। অলিম্পিক্সের কারণে সংক্রমণের হার বাড়লে, দেশের চিকিৎসা পরিষেবা ভেঙে পড়বে বলে চিঠিতে আতঙ্ক প্রকাশ করেছে টোকিও মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
গেমস উদ্যোক্তাদের উদ্যোগ
টোকিও অলিম্পিক্স সুষ্টু এবং সুরক্ষিতভাবে আয়োজন করার লক্ষ্যে সহযোগী হিসেবে জাপান সরকারের কাছে ১০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী ছাড়া অতিরিক্ত ৫০০ জন নার্স ও ২০০ জন স্পোর্টস মেডিসিন স্পেশালিস্ট চেয়েছে গেমস কমিটি। যা এই মুহুর্তে দেওয়া সম্ভব নয় বলে সরকারকে জানিয়ে দিয়েছে টোকিও মেডিক্যাল প্র্যাকটিশনার্স অ্যাসোসিয়েশন।
অলিম্পিক্সের ইতিবৃত্ত
২০২০ সালের ২৪ জুলাই থেকে শুরু হওয়ার কথা ছিল টোকিও অলিম্পিক্স। করোনা ভাইরাসের কারণে এক বছরের জন্য পিছিয়ে যায় ইভেন্ট। আগামী ২৩ জুলাই থেকে শুরু হওয়ার কথা অলিম্পিক্স। অতিমারীর চরম আবহে যা বন্ধ করে দেওয়ার আবেদন উঠেছে জাপানের নাগরিক সমাজ থেকে। কিন্তু গেমস আয়োজনে বদ্ধপরিকর জাপান প্রশাসন।