মালদহ: করোনা সংক্রমণ রুখতে রাজ্যে লকডাউন চলছে। এই লকডাউন অমান্য করায় পুলিশের মারে হাত ভাঙলো এক কিশোরের। অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করছে তার পরিবার। অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ফাঁড়ি ইনচার্জ। ঘটনাটি ঘটেছে হরিশচন্দ্রপুর থানার ভালুকা ফাঁড়ির অন্তর্গত গোবরাঘাট এলাকায়।

লকডাউনে রাস্তায় অযথা বের হওয়া বা আইন ভঙ্গ করা রুখতে পুলিশ কড়া ভূমিকা নিচ্ছে। বেশকিছু ক্ষেত্রে আইনভঙ্গকারীদের বাগে আনতে লাঠি পেটা করতে হচ্ছে পুলিশ কে। হরিশচন্দ্রপুরের ঘটনা বিতর্কিত আকার নিল।

পুলিশের লাঠির আঘাতে জখমের নাম শেখ বেলাল। বয়স ১৫ বছর। তার পিতা শেখ জামাল নৌকার মাঝি। বাড়ি হরিশ্চন্দ্রপুর থানার রশিদপুর গ্রামে। জানা গিয়েছে, বাবা বাড়িতে খেতে যাওয়ায় ঘাটে নৌকা পাহারা দিচ্ছিল শেখ বেলাল। সেই সময় ভালুকা ফাঁড়ির এএসআই তোফাজ্জল হক এসে তাকে ধরে নিয়ে যায়। অভিযোগ ফাঁড়িতে নিয়ে গিয়ে লকআপে ঢুকিয়ে বেধড়ক মারধর করেন ভালুকা ফাঁড়ির ইনচার্জ। বাড়িতে আসার পরে অসুস্থ হয়ে যায় শেখ বেলাল।

পরে গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়ায় শেখ বেলালকে আনা হয় হরিশ্চন্দ্রপুর গ্রামীণ হাসপাতলে। এদিকে তার পরিবারের তরফ থেকে ঘটনাটি জানানো হয় তৃণমূল কংগ্রেসের জেলা সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমানকে। একইসঙ্গে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে হরিশ্চন্দ্রপুর থানায়।

কেন শেখ বেলাল কে লকআপে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হলো তার সদুত্তর নেই। ঘটনায় এলাকাবাসী ক্ষুব্ধ। যদিও অভিযুক্ত এএসআই ও ফাঁড়ি ইনচার্জ তাঁদ্র বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অসুস্থ শেখ বেলাল চিকিৎসাধীন। ঘটনার তদন্ত হবে বলে জানিয়েছেন হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস। জেলা পুলিশ সুপার অলোক রাজোরিয়া বলেন তদন্ত শুরু হয়েছে।

জখম শেখ বেলাল জানিয়েছে, ঘাট পাহারা দিতে এসেছিলাম। একজন পুলিশ এসে মালিকের কথা জিজ্ঞাসা করে। মালিকের সাথে ফোনে কথা বলিয়ে দিই। তারপরে আমাকে থানায় তুলে নিয়ে যায়।বেধড়ক মারধর করে ভালুকা ফাঁড়ির ইনচার্জ। সারা শরীর ফুলে গেছে। হাত ভেঙে গেছে।

জখম শেখ বেলালের বাবা শেখ জামাল বলেন, লকডাউনের জন্য নৌকা চলাচল বন্ধ। আমার ছেলে নৌকা পাহারা দিচ্ছিল। সেই সময় পুলিশ তুলে নিয়ে যায়।আর বেধড়ক মারধর করে।আমরা এর সুবিচার চাই। অভিযুক্ত পুলিশ অফিসারের শাস্তি চাই।

মালদহ জেলা তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক জম্মু রহমান বলেন, জামাল সাহেবের ছেলে ঘাট পাহারা দিচ্ছিল। সেই সময় ভালুকা ফাঁড়ির এএসআই তোফাজ্জল হক এসে তাকে তুলে নিয়ে যায়। লকআপে তাকে বেধড়ক মারধর করে ফাঁড়ি ইনচার্জ সৌমজিৎ মল্লিক। ঘটনাটি খুব দুঃখজনক। হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাসের সঙ্গে এই নিয়ে আলোচনা করব। আলোচনার ভিত্তিতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

ভালুকা ফাঁড়ি ইনচার্জ সৌমজিৎ মল্লিক বলেন, লকডাউন চলছে। তাই পুলিশের নজরদারি চলছে। লকডাউন অমান্য করলে পুলিশ ব্যবস্থা নিচ্ছে। কাউকে ডিটেনশন করলে তারপর তাকে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে। লকআপে আনার প্রশ্ন নেই। আর এই ভাবে কাউকে মারধর করা হয়নি।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.