নয়া দিল্লিঃ হোয়াটসঅ্যাপকে তার নতুন গোপনীয়তা নীতি প্রত্যাহার করতে নোটিস পাঠিয়েছে ভারতের তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক। সুত্র মারফত জানা যাচ্ছে, এই নোটিসের জবাব দিতে এক সপ্তাহ সময় দিয়েছে কেন্দ্র (IT Ministry)। এর মধ্যে জবাব না দিলে ‘আইনি পথে হাঁটারও’ হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়েছে এই জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশনকে। তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রক অভিযোগ করেছে যে, “এটি দায়িত্বজ্ঞানহীন, হোয়াটসঅ্যাপের তরফে ভারতীয় ব্যবহারকারীদের উপর থেকে এই অন্যায় শর্ত আরোপের অবস্থানটি বদল করা উচিত।’
সোশ্যাল মিডিয়ার (social media) অন্যতম জনপ্রিয় বার্তা প্রেরণকারী অ্যাপ্লিকেশনের মধ্যে একটি ফেসবুকের (facebook) মালিকানাধীন হোয়াটসঅ্যাপ (WhatsApp)। বেশকিছু সময় ধরে এই সামাজিক মাধ্যম তাদের নতুন গোপনীয়তা নীতি নিয়ে ভারতে সমালোচনার মুখে পড়েছে। এর ফলে বহুবার পরিবর্তন করতে হয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের বিতর্কিত নতুন গোপনীয়তা নীতির সময়।
হোয়াটসঅ্যাপ সম্প্রতি বিতর্কিত গোপনীয়তা নীতি (privacy policy) আপডেট গ্রহণ করার জন্য ব্যবহারকারীদের ১৫ মে তারিখের সময়সীমা বাতিল করে দিয়েছিল এবং শর্তাদি না মানলে অ্যাকাউন্টগুলি মুছে ফেলা হবে না বলে উল্লেখও করেছিল। এর পাশাপাশি সংস্থা জানিয়েছে, অ্যাকাউন্টগুলি মুছে ফেলা না হলেও যে সকল ব্যবহারকারী সংস্থার দেওয়া নতুন নীতি গ্রহণ করবে না, তাদের সীমিত কার্যকারিতার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা হবে। হোয়াটসঅ্যাপের (WhatsApp) সীমাবদ্ধতার তালিকায় রাখা হয়েছে চ্যাট (chat), নোটিফিকেশন (notifications) এবং কলের (calls) মতো সুবিধাগুলিকে।
ফেসবুকের মালিকানাধীন বার্তা প্ররণকারী অ্যাপ্লিকেশন হোয়াটসঅ্যাপ সংস্থা গার্ডিয়ানকে দেওয়া এক বিবৃতিতে সম্প্রতি জানিয়েছে, নতুন গোপনীয়তা নীতি গ্রহণ না করলে কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সীমিত কার্যকারিতাও বন্ধ করবে সংস্থা। গ্রাহকরা ইনকামিং কল এবং নোটিফিকেশনের সঙ্গে অন্যকাউকে বার্তা পাঠানো এবং কলেও সুবিধা থেকেও বঞ্চিত হবে। নতুন নীতিটি গ্রহণ করার জন্য ব্যবহারকারীদের ‘এগ্রি’ অপশনে ক্লিক করতে হবে। যা ব্যবহারকারীর সুবিধার জন্য সংস্থার তরফে স্মার্টফোনের স্ক্রিনে ব্যানার আকারে প্রদর্শিত হচ্ছে অপশনটি। হোয়াটসঅ্যাপ জানুয়ারিতে তাদের গোপনীয়তা নীতি আপডেট চালু করেছিল। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছিল পরিষেবা চালিয়ে যেতে সকল ব্যবহারকারীকে এই নীতি ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে গ্রহণ করতে হবে। তবে, তীব্র সমালোচনার কারণে প্ল্যাটফর্মটিকে নতুন নীতি আপডেটের বাস্তবায়ন পিছিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.