সোমবার বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি, ভিডিও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে
সোমবার নারদ মামলায় ৪ নেতাকে গ্রেফতারের পরেই নিজাম প্যালেসের সামনে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি হয়। একদিকে যেমন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সিবিআই-এর অফিসে প্রায় ৬ ঘন্টা ছিলেন, অন্যদিকে সেই সময়ের মধ্যে নিজাম প্যালেসের সামনে তৃণমূল কর্মী সমর্থকরা ব্যারিকেড ভাঙার চেষ্টা করে। কেন্দ্রীয় বাহিনীকে লক্ষ্য করে ইট ছোঁড়ে।
কলকাতা থেকে নারদ মামলা সরাতে আবেদন
সোমবারের ঘটনাই ব্যুমেরাং হয়েছে তৃণমূলের পক্ষে। সেদিন রাতে হাইকোর্টে শুনানির সময় সিবিআই আইনজীবী ওয়াই কে দস্তুর প্রধান বিচারপতির কাছে বিষয়টি বর্ণনা করেন। সেদিন নিজাম প্যালেসের ভিতরে ও বাইরে কোন পরিস্থিতি ছিল তাও জানিয়েছিলেন তিনি। সিবিআই-এর আইনজীবী বলেছিলেন, যে জায়গায় ৪ হেভিওয়েটের শুনানি চলার কথা, সেখানে ৬ হেভিওয়েট নেতা-মন্ত্রী বসে রয়েছেন। এঁদের মধ্যে ছিলেন রাজ্যে আইনমন্ত্রী এবং স্বাস্থ্য প্রতিমন্ত্রীও। এই পরিস্থিতিতে বিচার আদৌ সুনিশ্চিত কিনা প্রশ্ন তোলা হয়েছিল সিবিআই-এর তরফে। আর এদিন সিবিআই-এর তরফে সরাসরি নারদ মামলা রাজ্যের বাইরে সরাতে আবেদন করা হয়।
নারদ মামলায় পক্ষ করা হল মুখ্যমন্ত্রীকেও
এদিন আদালতে পেশ করা সিবিআই-এর রিট জুরিসডিকশনে দেখা গিয়েছে, প্রথমেই রয়েছে ফিরহাদ হাকিমের নাম। তারপরে রয়েছে মদন মিত্রের নাম। এরপর একে একে শোভন চট্টোপাধ্যায় এবং সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের নাম। পঞ্চম নাম প্রাক্তন আইপিএস সৈয়দ মির্জার। ষষ্ঠ নামটি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। সপ্তম এবং অষ্টম নাম যথাক্রমে মলয় ঘটক এবং কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
নিজাম প্যালেসের সামনে হুমকি, রাজভবনের দরজায় ১৪৪ ধারা ভঙ্গ, মমতা-পুলিশের কাছে জবাব চাইলেন ধনখড়
কলকাতা থেকে সরেছে রোজভ্যালি মমলা
এর আগে কলকাতা থেকে রোজভ্যালি মামলা সরিয়ে ভুবনেশ্বরে নিয়ে গিয়েছিল সিবিআই। মূলত প্রভাবশালীদের চাপ প্রয়োগের অভিযোগ তুলেই সিবিআই-এর তরফে এই মামলা কলকাতা থেকে সরানোর আবেদন করা হয়েছিল আদালতে। শুনানি হলেই অভিযুক্তদের সেখানে ছুটতে হয়েছে। এবং প্রয়াত তাপস পাল, সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়-সহ একাধিক অভিযুক্তকে কলকাতা থেতে গ্রেফতার করে ভুবনেশ্বরে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এবং সেখানকার জেলেই বন্দি রাখা হয়েছিল।