গ্রেফতারের খবর পেয়েই ছুটে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী
সোমবার সাতসকালে চার নেতার বাড়িতে সিবিআই-এর হানা। একে একে ফিরহাদ হাকিম, সুব্রত মুখোপাধ্যায়, মদন মিত্র এবং শোভন চট্টোপাধ্যায়কে নিয়ে যাওয়া হয় নিজাম প্যালেসে। সেখানে নিয়ে যাওয়ার পর তাঁদের গ্রেফতার করা হয়। এই খবর পেয়েই সেখানে ছুটে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ১৪ তলায় সিবিআই-এর ডিআইজির ঘরের সামনে চেয়ার নিয়ে বসে পড়েন মুখ্যমন্ত্রী। এরপর সেখানে ছয়ঘন্টা কাটিয়েও দেন।
সিবিআই-এর আইনজীবীরের মুখে মুখ্যমন্ত্রীর নাম
এদিন হাইকোর্টে নারদ মামলা নিয়ে সওয়াল করতে গিয়ে সিবিআই-এর আইনজীবী তুষার মেহতা সোমবারের ঘটনার কথা উল্লেখ করেন। তিনি বলেন, ৪ প্রভাবশালীকে গ্রেফতারের পরেই মুখ্যমন্ত্রী সেখানে চলে যান এবং তাঁকেও গ্রেফতারের দাবি করেন। মুখ্যমন্ত্রী নিজাম প্যালেসে গিয়েছেন, খবর ছড়িয়ে পড়তেই একদিকে যেমন নিজাম প্যালেসের সামনে বিক্ষোভ হয়, ঠিক তেমনই শহরের বিভিন্ন জায়গায় অবরোধ শুরু করেন তৃণমূলের কর্মী সমর্থকরা। সিবিআই-এর আইনজীবী বলেন, মুখ্যমন্ত্রীর ধরনায় বসার ঘটনাও এক কথায় নজিরবিহীন। বিচারপতির কাছে তাঁর প্রশ্ন, মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কি এটা করতে পারেন। আর মুখ্যমন্ত্রী যদি তা করেন, তাহলে সাধারণের গ্রেফতারের ক্ষেত্রেও তাই হতে থাকবে, মন্তব্য করেন আইনজীবী।
সওয়ালে উঠে আসে রাজ্যের আইনমন্ত্রী মলয় ঘটকের কথাও। ওইদিন তিনিও পৌঁছে গিয়েছিলেন নিজাম প্যালেসের সিবিআই আদালতে। সেই কথাও উল্লেখ করেন সিবিআইজীবী।

৪ নেতার আইনজীবীর সাফাই
এরপরেই বিষয়টি নিয়ে জবাব দিতে গিয়ে ৪ নেতার আইনজীবী অভিষেক মনু সিংভি দাবি করেন, মুখ্যমন্ত্রী কিংবা আইনমন্ত্রী সেখানে বিক্ষোভে প্ররোচনা দিতে যাননি। তাঁরা সেখানে বিধায়ক হিসেবে গিয়েছিলেন। সহকর্মীর জন্য সেখানে গিয়েছিলেন। পাশাপাশি তিনি দাবি করেন, তাঁরা বিক্ষোভকারীদের থামানোরও চেষ্টা করেছিলেন। অভিষেক মনু সিংভি আরও দাবি করেন, তাঁদের জন্য বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে একথা বলা যায় না।
বিচারপতির প্রশ্ন
এদিন দুপক্ষের আইনজীবী বলার পরে বিচারপতি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী তো সেখানে খুব একটা কম সময় থাকেননি। তিনি সেখানে প্রায় ৫-৬ ঘন্টা ছিলেন। অন্যদিকে আইনমন্ত্রীও নিম্ন আলাদতে ছিলেন। তিনি প্রশ্ন করেন, এটা কি কোনও গুরুতর বিষয় নয়? অভিষক মনু সিংভির প্রতি তাঁর প্রশ্ন এর পিছনে কোন যুক্তি রয়েছে?