স্টাফ রিপোর্টার, কলকাতা : গত শুক্রবার শেষ বৃষ্টি(rain)হয়েছিল কলকাতায়(Kolkata)। তারপর মঙ্গলবার অল্প ঝড় হল শহরে। আর তার জেরেই সকালের কলকাতার সকালের তাপমাত্রা কিছুটা স্বস্তিদায়ক। তবে বেলা বাড়লে তা অস্বস্তিকর হতে পারে। এই অস্বস্তি থেকে আজ বুধবার আবারও শহরকে খানিক স্বস্তি দিতে পারে অলসল্প বৃষ্টি (thundershower)।

বুধবার সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি, মঙ্গলবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৯১ সর্বনিম্ন ৪৬ শতাংশ। বৃষ্টি হয় ২.১ মিলিমিটার।

মঙ্গলবার তাপমাত্রা ছিল ২৮.৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে দুই ডিগ্রি বেশি, সোমবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে তিন ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতার(humidity) পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮৯ সর্বনিম্ন ৪৭ শতাংশ।

গত সপ্তাহের বৃষ্টির হওয়ার জেরে পারদ নামা এবং বৃষ্টি থামার পরেই পারদ চড়ার রেকর্ড দেখলেই স্পষ্ট হবে বিগত কয়েকদিনে কলকাতার অস্বস্তিকর পরিস্থিতি কতটা বেড়েছিল। যেমন গত সপ্তাহের শেষে শনিবার কলকাতার তাপমাত্রা ছিল সর্বনিম্ন ২৬.৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিক। শুক্রবার শহরের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৬.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা স্বাভাবিকের থেকে এক ডিগ্রি বেশি। আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ সর্বোচ্চ ৮৭ সর্বনিম্ন ৩৭ শতাংশ।

কিন্তু এত যে গরম, তার উপর রাজ্যে একটু ঝড় বৃষ্টি নেই। অন্তত দক্ষিণবঙ্গের অবস্থা তেমনই। এমন অবস্থায় রাজ্যবাসীর প্রশ্ন বর্ষা কবে আসবে? সেই তথ্যও অবশ্য দিয়েছে হাওয়া অফিস।

জানা যাচ্ছে সব কিছু ঠিকঠাক এগোলে রাজ্যে ১৫ জুনের মধ্যেই বর্ষা চলে আসবে। কেরলের বর্ষা (monsoon)যদি দেরিও করে তার প্রভাব সাধারণত পরে না বাংলার বর্ষা আগমনের উপর। এবারও তেমনটাই হবে বলে জানিয়েছে হাওয়া অফিস। আসলে বর্ষা প্রথমে পাহাড়ে আসে তারপর ধীরে ধীরে তা ঘিরে বাংলাকে। এমন ভাবেই আট থেকে দশ তারিখের মধ্যে যদি বাংলায় প্রবেশ করে বর্ষার মেঘ আবহাওয়াবিদরা আশা করছেন ১৫ জুনের মধ্যে তা ঘিরে ফেলবে দক্ষিণবঙ্গসহ সারা বাংলাকে। সেই অনুযায়ী বাংলায় বর্ষা পুরোপুরি আসতে ওই মাঝ জুন। অর্থাৎ সেই অনুযায়ী দেখতে গেলে আবার পয়লা আষাঢ়ের মধ্যেই বর্ষা চলে আসবে সারা রাজ্যে। এমনটাই খবর হাওয়া অফিস সূত্রে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.