মে মাসেই তিনটি ঘূর্ণিঝড় হানা দেবে ভারতীয় উপকূলে
আইএমডি জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগর ও আরব সাগরে দুটি ঘূর্ণাবর্ত তৈরি হয়েছে। তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। দুটিই যদি ঘুর্ণিঝড়ে রূপান্তরিত হয়, তা হলে মে মাসেই তিনটি ঘূর্ণিঝড় হানা দেবে ভারতীয় উপকূলে। আরব সাগরেই তার মধ্যে দুটি ঘূর্ণিঝড়ের আগমন ঘটবে ১৫ দিনের ব্যবধানে।
১৫ দিনের মধ্যেই আরব সাগরে ঘূর্ণিঝড় গুলাবের উপস্থিতি!
আরব সাগরে তাউকটের পথ ধরেই আরও একটি ঘূর্ণাবর্তের পূর্বাভাস দিয়েছে আইএমডি। সোমবার সন্ধ্যায় মুম্বই ও গুজরাতে আছড়ে পড়ে সুপার সাইক্লোন তাউকটে। এরপর আরব সাগরের কর্ণাটক উপকূলে তৈরি হওয়া ঘূর্ণাবর্তের ঘূর্ণিঝড়ে রূপান্তরের সম্ভাবনা প্রবল। তাহলে ১৫ দিনের মধ্যেই আরব সাগরে বইতে শুরু করবে ঘূর্ণিঝড় গুলাব।
ক্লাইমেট রিসার্চ অ্যান্ড সার্ভিসেসের গবেষণায় আভাস
আরব সাগর আগের থেকে অনেক বেশি উষ্ণ হযে উঠেছে। বঙ্গোপসাগরের থেকে শীতল ছিল আরব সাগর। এখন জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আরব সাগর চরিত্র বদল করছে। ক্লাইমেট রিসার্চ অ্যান্ড সার্ভিসেসের তরফে জানানো হয়েছে, ভৌগলিক অবস্থান, সমুদ্রের তাপমাত্রা ও সমুদ্রের লবণাক্ততায় পরিবর্তনের ফলেই আরব সাগরে বাড়ছে ঘূর্ণিঝড়ের সম্ভাবনা।
তাউকটের পর ঘূর্ণিঝড় গুলাব অপেক্ষায় আরব সাগরে
গবেষকরা মনে করছেন, আরব সাগর আগের থেকে অনেক বেশি উষ্ণ হয়ে উঠেছে, যার ফলে ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে, তা শক্তি বাড়াতেও সমর্থ হচ্ছে অস্বাভাবিক। যেমনটা হল তাউকটের ক্ষেত্রে। আবার গবেষকদের গবেষণা সত্যি করে ঘূর্ণিঝড় গুলাব অপেক্ষায় রয়েছে। তৈরি হয়েছে আরও ঘূর্ণিঝড় আসার ক্ষেত্র।
আরব সাগর বঙ্গোপসাগরের সমগোত্রীয় হয়ে গিয়েছে
১৮৯১ সাল থেকে ভারতে ঘূর্ণিঝড়ের রেকর্ড রয়েছে। উত্তর ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলে এক বছরে পাঁচটি করে গড়ে ঘূর্ণিঝড় হয়। তার মধ্যে সাধারণত একটিই আরব সাগরে উত্থিত হয়। কিন্তু গত তিন-চার বছরে আরব সাগরেও ঘূর্ণিঝড় তৈরি হচ্ছে বঙ্গোপসাগরের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে। এর কারণ নিয়েই এখন চর্চা শুরু হয়েছে।
২০১৮ সাল থেকে ২০২০- চরিত্র বদল আরব সাগরের
২০১৮ সালে বঙ্গোপসাগর যখন বছরে গড়ে চারটি ঘূর্ণিঝড় হয়েছিল, আরব সাগরে তখন তিনটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছিল। ২০১৯ সালে আরব সাগরে তৈরি হয়েছিল পাঁচটি ঘূর্ণিঝড়, বঙ্গোপসাগরে মাত্র তিনটি। ২০২০ সালে বঙ্গোপসাগর তিনটি ঘূর্ণিঝড় ও আরব সাগর দুটি ঘূর্ণিঝড় তৈরি হয়েছিল। আর এবার মে মাসেই বঙ্গোপসাগরকে টেক্কা দিচ্ছে আরব সাগর।