মনের ভাব প্রকাশ (expression) করা সবসময়ই কি বাধ্যতামূলক? অনেকেই বলবেন হ্যাঁ।

কারণ প্রকাশ (expression) না করলে আমরা বুঝবো কেমন করে? কিন্তু যদি বলি অন্যভাবেও কথা না বলেই এগুলি স্পষ্ট (expression) করে দেওয়া যায় তাহলে?

অবাক হলেন তো? আসলে সম্পর্কে আসতে গিয়ে অনেক মেয়েরাই অনেক কিছু মুখ ফুটে বলতে (expression) পারে না।

তাদের মনের ভাষা পড়ে নিতে হয় প্রেমিকদের। কোনো কোনো প্রেমিকের আবার তা বুঝে উঠতে সময় লাগে।

দেখে নেওয়া যাক এমন কী বিশেষ ভাবনা থাকে তাদের যা প্রকাশ করতে পারে না তারা।

১. “তুমি মনে হয় ব্যস্ত” এই শব্দসমষ্টি সে মুখে উচ্চারণ করে প্রশ্ন করবে না। তবে এমন কিছু বললে বুঝতে হবে আপনার ব্যবহারে সঙ্গী ক্ষুব্ধ।

হয়তো দীর্ঘক্ষণ আপনি তাকে ফোন বা মেসেজ করেননি তাই তিনি ক্ষুন্ন হয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতে হ্যাঁ বা না দুটোই বলা আপনার পক্ষে একেবারেই মঙ্গলজনক নয়।

হ্যাঁ বা না-এর মাঝামাঝি কিছু ভাবতে হবে আপনাকে।

২. “মাথাব্যথা করছে, ফোন রাখব” – আপাতত এটি শুনলে মন হবে সে অসুস্থ তাই বিশ্রাম নিতে চাইছে। তবে বাস্তবে ঠিক তার উল্টো।

সে চায় সে বারবার যেতে চাইলেও আপনি তাকে আটকে রাখুন। আবার হতে পারে আপনার সঙ্গে ঝগড়ায় সে পেরে উঠছে না বলে বিরতি নিতে চাইছে।

এর অর্থ বুঝতে হবে যে আপনি নিজের দোষ স্বীকার করেননি বলে সে ক্ষিপ্ত।

৩. “প্রোফাইল পিকচারটা সুন্দর”- প্রেমিকার এই প্রশংসায় প্রেমে গদগদ হওয়ার কোনো দরকার নেই। কারণ এটা সে আপনাকে প্রশংসা করতে বলেনি।

একটু গভীরে ভাবলে বুঝবেন যে আপনার প্রোফাইল পিকচারে (profile picture) লাভ রিঅ্যাকশন দিয়েছেন কে বা কারা সেটাই সে জানতে চাইছে।

আবার হতে পারে এমন কেউ রিয়্যাক্ট দিয়েছে যাকে সে পছন্দ করে না। অথচ আপনার প্রোফাইলে তাকে এক্টিভ দেখে সে চমকে উঠেছে।

৪. কোনো পরিচিত মেয়ের বাড়ির ঠিকানা আপনার কাছে জানতে চাওয়ার অর্থ এই নয় যে সে সত্যিই তা জানে না।

তার জানার উদ্দেশ্য হলো আপনি কী করে সেই ঠিকানা জানলেন সেটা বা আদৌ আপনি জানেন কীনা সেটাও সে দেখতে চায় পরীক্ষা করে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.