কলকাতা : রাজ্যে করোনা সংক্রমণের (Corona virus) দাপট অব্যাহত । গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে সংক্রমণ খানিকটা কমলেও, মৃত্যুর হার বেড়েছে বেশ খানিকটা। স্বাস্থ্যদপ্তরের বুধবারের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন ১৯ হাজার ৬ জন। মঙ্গলবারও এই সংখ্যাটা ছিল ১৯,৪২৮। সেই তুলনায় বুধবারের দৈনিক সংক্রমণ খানিকটা কমেছে। একদিনে রাজ্যে করোনা সংক্রমণে প্রাণ হারিয়েছেন ১৫৭ জন। এটাই রাজ্যে এই সময়ের মধ্যে করোনা সংক্রমণে সর্বাধিক মৃত্যু । গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ১৯ হাজার ১৫১ জন মানুষ ।

স্বাস্থ্যদপ্তরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী , এই মুহূর্তে রাজ্যে অ্যাকটিভ করোনা রোগীর সংখ্যা ১ লক্ষ ৩১ হাজার ৪৯১ জন। যা মঙ্গলবারের চেয়ে ৩০০ জনের মতো কম। এ নিয়ে পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal)মোট করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১১ লক্ষ ৭১ হাজার ৮৬১ জন । সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন ১০ লক্ষ ৪৫ হাজার ৬৪৩জন। মৃত্যু হয়েছে মোট ১৩ হাজার ৭৩৩ জনের। সুস্থতার হার বেড়েছে সামান্য, এই মুহূর্তে সুস্থতার হার ৮৭.৮১%। সংক্রমণের শীর্ষে উত্তর ২৪ পরগনা (North 24 Parganas)। এই জেলায় দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৪১৭৭ জন । ঠিক তার পরেই রয়েছে কলকাতা। গত ২৪ ঘণ্টায় কলকাতায় (Kolkata) নতুন করে ৩৬১৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে ।

করোনা সংক্রমণ (COVID-19) রুখতে গত রবিবার থেকে রাজ্যে শুরু হয়েছে নতুন করে বিধিনিষেধ বা প্রায় লকডাউন । এই পর্বে তা চলবে ৩০ মে পর্যন্ত। বন্ধ সব গণপরিবহণ, নিষিদ্ধ যাবতীয় জমায়েত। এই বিধিনিষেধ ঠিকমতো মেনে চললে, তার সুফল মিলবে বলে আশাবাদী স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, এর প্রভাব আগামী ১৫দিন পরে মিলবে। এদিকে, বুধবারও রাজ্যে এসেছে ২ লক্ষের বেশি কোভিশিল্ড। টিকার ঘাটতি মেটাতে রাজ্য সরকারের আবেদন মেনে ভ্যাকসিন পাঠানো হচ্ছে কেন্দ্রের তরফে। সরাসরি উৎপাদক সংস্থার থেকে টিকা কেনাও হয়েছে। তাতেই চলছে রাজ্যে টিকাকরণের কাজ। আগামী শুক্রবার থেকে কলকাতায় তৃতীয় লিঙ্গের ব্যক্তিদের করোনার টিকাদান শুরু হবে। কলকাতা পুরসভার উদ্যোগে একইসঙ্গে ভ্যাকসিন পাবেন হকার, পরিবহণকর্মী, বাজারের ব্যাবসায়ী, মাছ ও সবজি বিক্রেতারাও। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করেছেন পুরসভার প্রশাসক অতীন ঘোষ। এদিকে রাজ্যের কেবল অপেরাটরদের তরফে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে এই কাজে যুক্তদের করোনা যোদ্ধা ঘোষণা করে টিকাকরণের আবেদন জানানো হয়েছে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.