বেঙ্গালুরুঃ দেশজুড়ে মারণ ভাইরাসের (Corona) তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড পরিস্থিতি। দিনে দিনে রেকর্ড হারে মানুষজন করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। থেমে নেই মৃতের সংখ্যাও। এমন উদ্বেগজনক পরিস্থিতি মোকাবিলায় বাঁধ সেধেছে দেশের বিপর্যস্ত স্বাস্থ্য পরিকাঠামো। হাসপাতালে নেই শয্যা, মিলছে না পর্যাপ্ত অক্সিজেনও। এহেন সংকটজনক পরিস্থিতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে একাধিক রাজ্য ইতিমধ্যেই শরণাপন্ন হয়েছে কারফিউ থেকে লকডাউনের। তদুপরি সংক্রমণ রোধে অন্যতম আরও একটি হাতিয়ার হল করোনা বিধি কঠোর ভাবে অনুসরন। স্থানীয় প্রশাসন থেকে চিকিৎসক মহল সবারই সাধারণ মানুষের কাছে একটি অন্যতম আর্জি ‘মাস্ক পরুন’। আর এবার সেই মাস্ক পরতে অস্বীকার করারই ভিডিও ভাইরাল (Viral Video)। তাও আবার খোদ চিকিৎসকের।
সম্প্রতি একটি ভিডিও সামাজিক মাধ্যমে বিদ্যুৎ বেগে ভাইরাল হচ্ছে। যেটিতে দেখা যাচ্ছে এক শপিং মলের মধ্যে কেনেকাটা করে বিল মেটাচ্ছেন এক ব্যক্তি। যিনি এই উদ্বেগজনক পরিস্থিতির মধ্যেও ভিড়ে ঠাঁসা শপিং মলে মাস্ক পরে নেই। তখন বিলিং কাউন্টারের এক কর্মী তাকে মাস্ক পরতে বললে, তিনি (Viral Doctor) এক কথায় অস্বীকার করেন। শুরু হয়ে যায় বিতর্ক। আর সেই বিতর্কের মধ্য থেকেই জানা যায়, ওই মাস্ক পরতে অস্বীকার করা ব্যক্তি একজন স্থানীয় নামী চিকিৎসক। তাকে ওই শপিং মলের কর্মীকে বলতে দেখা যাচ্ছে যে,”মাস্ক কী জরুরত না” (মুখোশের দরকার নেই)।
This is how #Covidiot Dr. Kakkilaya looks like.@compolmlr pic.twitter.com/oQaTdkvt9P
— Chiru Bhat | ಚಿರು ಭಟ್ (@mechirubhat) May 19, 2021
ঘটনাটি বেঙ্গালুরুর (Bengaluru) জিমি সুপার মার্কেটের। আর ওই পরিচিত চিকিৎসকের নাম বি শ্রীনিবাস কাক্কালয়। তিনি ওই সুপার মার্কেটের মধ্যে মাস্ক পরা দূর কি বাত, তার মুখে এও শোনা গেল যে, মাস্ক পরা ন্যায়সঙ্গত নয়। তিনি বলেন ‘সরকার একটি বোকা নিয়ম বানিয়েছে’। আর এই গোটা ঘটনার ভিডিও বন্দী হয়েছে শপিং লাগানো সিসিটিভিতে। সেই বিতর্কের ভিডিও যখন সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হয়, নেটিজেনরা ওই চিকিৎসককে ‘বিদ্রূপ’ করতে শুরু করে। পাশাপাশি ওয়াকিবহল মহল মন্তব্য করছেন, ‘খোদ চিকিৎসকের এহেন কাণ্ড এককথায় ধিক্কার জনক।’ যেখানে দেশে করোনার তাণ্ডবে বিপর্যস্ত পরিস্থিতি, সেখানে চিকিৎসকের এই ধরনের আচরণ কোনও মতেই গ্রহণ করা যায় না। জানা গিয়েছে ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে থানায় মামলাও রুজু হয়েছে।
লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'!
'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের।
কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.