আক্রান্ত ২ শতাংশের কম মানুষ
আক্রান্ত হয়েছেন মাত্র ২ শতাংশ মানুষ। তাই ভবিষ্যেতর সংক্রমণের বিষয়ে এদিন পুনরায় সতর্ক করতে দেখা যায় নীতি আয়োগের (স্বাস্থ্য) সদস্য তথা কেন্দ্রের করোনা টাস্ক ফোর্সের প্রধান ডঃ ভি কে পালকে। অনেক রাজ্যে করোনার প্রকোপ ধীরে ধীরে কমলেও এখনও বেশ কিছু রাজ্য যে আতঙ্ক বাড়াচ্ছে সেই বিষয়েও এদিন আশঙ্কা প্রকাশ করতে দেখা যায় তাঁকে।
কমছে মহামারির প্রকোপ
ডঃ ভি কে পালের কথায়, " বেশি টেস্ট ও কন্টেইনমেন্টের সুফল ফের পেতে শুরু করেছে দেশবাসী। তবে এখনও বেশ কিছু রাজ্য রয়েছে যেখানে চিন্তা বাড়ছে। তবে আশাব্যঞ্জক ভাবে ‘আর ভ্যালু' কমছে কমছে গোটা দেশেই। এমনকী গড় আর ভ্যালু ১ এর নীচেও নেমে গিয়েছে। এটা থেকেই স্পষ্ট যে ধীরে ধীরে কমছে মহামারির প্রকোপ। আশা করা যায় দ্রুত মৃত্যু হারও নিয়ন্ত্রণের মধ্যে চলে আসবে।"
কমছে আর ভ্যালু
বর্তমানে দেশের গড় আর ভ্যালু ১-র কাছাকাছি রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন আর ভ্যালু পারাপতন থেকে একটা বিষয় স্পষ্ট যে গোটা দেশে ক্রমেই কমছে চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা। ভাইরাসের প্রজনন সংখ্যাকেই মূলত বলা হয় আর ভ্যালু বা রিপ্রোডাকটিভ ভ্যালু। একজন সংক্রামিত ব্যক্তির দ্বারা গড় সংক্রমণের হিসাব করতেই এই আর ভ্যালুর যাচাই করেন বিশেষজ্ঞরা।
আশার কথা শোনাচ্ছে লভ আগরওয়াল
এদিকে বর্তমানে দেশে ১.৮ শতাংশ মানুষ এখনও পর্যন্ত করোনার গ্রাসে পড়েছেন বলে জানান স্বাস্থ্য মন্ত্রকের জয়েন্ট সেক্রেটারি লভ আগরওয়াল। জেলা, রাজ্য ও জাতীয় স্তরে গত কয়েক মাসে স্বাস্থ্য পরিকাঠামোর ব্যাপক উন্নতি সাধনের কারণেই করোনাকে ২ শতাংশের মধ্যে বেঁধে রাখা সম্ভব হয়েছে বলে দাবি তাঁর। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় ভারতে করোনার কবলে পড়েন ২ লক্ষ ৮০ হাজারের বেশি মানুষ। কিন্তু দৈনিক মৃত্যুর ক্ষেত্রে বিশ্ব রেকর্ড করে ভারত। মারা যান সাড়ে চার হাজারের বেশি মানুষ।