নয়াদিল্লি: ২০২২ বিশ্বকাপ (2022WC) এবং ২০২৩ এশিয়ান কাপের (2023 Asian Cup) যোগ্যতা-অর্জন পর্বের ম্যাচ খেলতে দোহা রওনা হওয়ার দিনই প্রাথমিকভাবে ২৮ জনের দল ঘোষণা করলেন ভারতের কোচ ইগর স্টিম্যাচ (Igor Stimach)। ২০২২ কাতার বিশ্বকাপে যোগ্যতা-অর্জনের সম্ভাবনা ফুরোলেও ২০২৩ চিনের মাটিয়ে অনুষ্ঠিত হতে চলা এশিয়ান কাপের জন্য ভারতের অবশিষ্ট এই তিন ম্যাচ ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ।

বুধের সন্ধ্যায় দোহা রওনা দিল ভারতীয় দল। দোহার মাটিতে এই তিন ম্যাচের জন্য ভারতীয় স্কোয়াডে ফিরলেন সুনীল ছেত্রী (Sunil Chhetri)। করোনা আক্রান্ত হওয়ার কারণে মার্চের শেষে আমিরশাহিতে জোড়া ফ্রেন্ডলি ম্যাচের স্কোয়াডে ছিলেন না তিনি। দোহার মাটিতে আগামী ৩জুন ভারতের প্রথম ম্যাচ কাতারেরই বিরুদ্ধে। প্রথম লেগে গত ২০১৯ সেপ্টেম্বর মাসে যাদের আটকে দিয়েছিলেন ঝিঙ্গানরা। এরপর যথাক্রমে ৭জুন এবং ১৫জুন বাংলাদেশ এবং আফগানস্তানের মুখোমুখি হবেন সুনীলরা।

প্রাথমিকভাবে দোহায় গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে যাওয়ার আগে কলকাতায় (Kolkata) স্টিম্যাচের দলের প্রস্তুতি শিবির (Preparatory Camp) হওয়ার কথা ছিল মে মাসের শুরুতে। কিন্তু করোনা (COVID-19) উদ্বেগে তা বাতিল হওয়ায় দোহাতেই জৈব বলয়ে প্রস্তুতি শিবির সারবে ‘মেন ইন ব্লু’। এব্যাপারে ক্রোট কোচ বলছেন, ‘আমরা পরিস্থিতির ভয়াবহতা বুঝতে পারছি। তবে এশিয়া চ্যাম্পিয়ন কাতারের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে দোহার মাটিতে জোরকদমে অনুশীলনের মধ্যে দিয়েই আমরা নিজেদের প্রস্তুত করে তুলব।’

অধিনায়ক সুনীল ছেত্রীও মাঠে নামার জন্য ছটফট করছেন। দোহা রওনা হওয়ার আগে তিনি বলেছেন, ‘জাতীয় দলে ফিরতে পেরে নিজেকে যেন মুক্ত মনে হচ্ছে। বাড়ি সেটাই যেখানে তোমার হৃদয় পড়ে থাকে। ব্যক্তিগতভাবে আমি দোহায় পৌঁছনোর জন্য ছটফট করছি। শেষবার যখন দোহায় গিয়েছিলাম অসুস্থতার জন্য মাঠে নামতে পারিনি।’ যদিও জুনে কাতারের মাটিতে খেলাকে ‘কঠিন’ বলছেন ছেত্রী। তবে প্রস্তুতি শিবির তাদের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে অনেক সুবিধা করবে বলে মনে করেন ভারত অধিনায়ক।

উল্লেখ্য, গত ১৫মে থেকে নয়াদিল্লিতে গোটা স্কোয়াড কোয়ারেন্টাইনে (Quarantine) ছিল। দোহাগামী বিশেষ বিমানে ওঠার আগে প্রত্যেককেই আরটি-পিসিআর (RT-PCR) পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হয়েছে।

একনজরে ভারতীয় স্কোয়াড:

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.