ডায়েট বা ফাস্টিং এই দুটো শব্দ আমরা সকলেই জানি। কিন্তু ত্বকের আবার ফাস্টিং (skin fasting) হয় এটা বেশিরভাগ মানুষই জানেন না।

শারীরিক গঠন ঠিক রাখতে যেমন বেশি খেয়ে ফেললে ফাস্টিং নিয়ম মানতে বলেন বিশেষজ্ঞরা এক্ষেত্রেও এমনটাই হয়।

বিয়ের মরশুমে যেমন টানা অধিক তেল–মশলাযুক্ত খাবারে উদোর পূর্তি করার পর কিছুদিন হালকা খাবার খাওয়া উচিত তেমন ত্বকের বেলাতেও বিষয়টি একই (skin fasting)। উৎসব বা পার্টি মানেই ভারী মেকআপের ব্যবহার।

আর তার ঠিক পরেই তাতে ছেদ টানতে বলা হচ্ছে। একটা সময় ত্বক মেকআপের ভার নিতে নিতে ক্লান্ত হয়ে পড়ে।

পেটের মতো ত্বককেও মেকআপ থেকে মুক্তি দেওয়া উচিত কিছু সময়ের জন্যে।

আরো পোস্ট- প্রেমিকা মুখে বলবে না এগুলি! বুঝে নিতে হয়

ত্বকের স্বাভাবিক জৈবিক প্রক্রিয়া যাতে সঠিকভাবে কাজ করতে বাধা না পায় সে জন্য একটি নির্দিষ্ট সময় পরপর ত্বককে মেকআপ থেকে মুক্ত রাখা উচিত।

এই ধারণাটি জাপানের সনাতনী চিকিৎসা পদ্ধতি (skin fasting) থেকে এসেছে।

ত্বক বিশেষজ্ঞরাও ধারণাটির বিচার করেন। তাদের মতে, সপ্তাহে দুদিন যদি হালকা মেকআপ বা মেকআপ না করেই থাকা যায়, তাহলে ত্বক অনেক বেশি সজীব ও প্রাণবন্ত থাকবে।

আসলে প্রতিদিনের ভারী মেকআপের ফলে ত্বকের কোলাজেন (collagen) ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এর ফলে ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা কমে যায়।

ত্বকে ভাঁজ দেখতে পাওয়া যায় এর থেকেই।

ডার্মাটোলজিস্টদের মতে, ভারী মেকআপ করলে রাসায়নিকের ফলে ত্বকের লোমকূপ বন্ধ হয়ে ত্বকে এলার্জি, ইনফেকশন, চুলকানির মতো সমস্যা হতে পারে।

দুদিন কম বা মেকআপ ছাড়া থাকতে পারলে ত্বকে নতুন কোষ জন্মাতে পারে। তবে যাদের একনের সমস্যা আছে তারা ক্লিনজার ব্যবহার করবেন।

প্রখর রোদে বেরোলে আবার সানস্ক্রিন ব্যবহার করা যাবে। ফাস্টিংয়ের সময়ে বারবার জল দিয়ে মুখ পরিষ্কার করতে হবে।

এছাড়া ফেসওয়াশের বদলে ফেস সেরাম এবং ওয়াটারবেজড সানস্ক্রিন (waterbased sunscree) nবেছে নিলে ভালো।

রূপ ও ত্বক বিশেষজ্ঞরা ত্বকের স্বাস্থ্য রক্ষা করতে সপ্তাহে অন্তত দুই দিন স্নান করার ঠিক আগে স্কিন ক্লিনার ব্রাশ দিয়ে একবার ত্বক ব্রাশ (dry brush) করে নিতে বলছেন।

এতে ত্বকে রক্তসঞ্চালন স্বাভাবিকভাবে হতে পারে।

লাল-নীল-গেরুয়া...! 'রঙ' ছাড়া সংবাদ খুঁজে পাওয়া কঠিন। কোন খবরটা 'খাচ্ছে'? সেটাই কি শেষ কথা? নাকি আসল সত্যিটার নাম 'সংবাদ'! 'ব্রেকিং' আর প্রাইম টাইমের পিছনে দৌড়তে গিয়ে দেওয়ালে পিঠ ঠেকেছে সত্যিকারের সাংবাদিকতার। অর্থ আর চোখ রাঙানিতে হাত বাঁধা সাংবাদিকদের। কিন্তু, গণতন্ত্রের চতুর্থ স্তম্ভে 'রঙ' লাগানোয় বিশ্বাসী নই আমরা। আর মৃত্যুশয্যা থেকে ফিরিয়ে আনতে পারেন আপনারাই। সোশ্যালের ওয়াল জুড়ে বিনামূল্যে পাওয়া খবরে 'ফেক' তকমা জুড়ে যাচ্ছে না তো? আসলে পৃথিবীতে কোনও কিছুই 'ফ্রি' নয়। তাই, আপনার দেওয়া একটি টাকাও অক্সিজেন জোগাতে পারে। স্বতন্ত্র সাংবাদিকতার স্বার্থে আপনার স্বল্প অনুদানও মূল্যবান। পাশে থাকুন।.